কলকাতা: রাজ্যে ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির দাবিকে উড়িয়ে দিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে দলীয় বৈঠকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে। রাজনৈতিকভাবে তৃণমূলকে মোকাবিলা করতে হবে। তার জন্য বুথভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার উপর জোর দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতে গিয়ে দেখলাম, মানুষ আমাদের চায়। কিন্তু তার জন্য মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পথে নেমে আন্দোলন করতে হবে।
অমিত শহের এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ দলের নেতা-কর্মীদের বড় অংশ। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো একাধিক নেতা বারবার ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে সওয়াল করেছেন। দলের অনেক নেতাই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উদ্দেশে বলেছেন, আপনার শুধু টুইটে কোনও কাজ হবে না। এবার কিছু করে দেখান। রাজ্যপালও একজন বিজেপি নেতার মতো বারবার রাজ্য সরকারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Cyclone Alert: গরম থেকে স্বস্তি মিলতেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস, রবিবার থেকেই বদলাবে আবহাওয়া
এদিন বিজেপি রাজ্য নেতাদের মধ্যে অনেকেই আশা করেছিলেন, অমিত শাহ দলীয় বৈঠকে নিশ্চয়ই তৃণমূল সরকারের প্রতি কোনও কড়া বার্তা দেবেন, যাতে নিচুতলার কর্মীরা চাঙ্গা হন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন। দুদিনের রাজ্যে সফরে প্রকাশ্য সভায় বা দলীয় বৈঠকে তাঁকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোনও চড়া বাষায় আক্রমণ করতে শোনা যায়নি। গত বিধানসভা ভোটের আগে তিনি যেসব কথা বলে গিয়েছেন, এবার সেসবেরই পুনরাবৃত্তি করেছেন অমিত শাহ।
দলীয় বৈঠকে অমিত শাহের সাফ কথা, একটা সরকার সবে ক্ষমতায় এসেছে। শুধু ৩৫৬ বা সিবিআই দাওয়াই দিয়ে সেই সরকারকে বিপাকে ফেলা কাজের কথা নয়। সংগঠন দিয়ে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের সঙ্গে। দিন কয়েক আগে মেদিনীপুরে দলের এক সভায় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও বলতে শোনা গিয়েছিল, রাজ্য বিজেপির এখনও সরকারি ক্ষমতায় আসার যোগ্য হয়ে ওঠেনি। তৃণমূলের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। কেন্দ্রীয় বস্তুত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সভাপতির ওই মন্তব্যেই সিলমোহর দিলেন।
আরও পড়ুন: Mohammad salim: অনুপ্রবেশ নিয়ে অমিত শাহকে ‘অপদার্থ’ বলে খোঁচা মহম্মদ সেলিমের