বিষ্ণুপুর: তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর আতঙ্কে অপর এক গোষ্ঠী বাড়ি ছাড়া। দুবছর ধরে ঘরছাড়া তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ২৫টি পরিবার। গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে জীবন যাপন তৃণমূল পরিবারগুলির। দল, পুলিস ও প্রশাসনের কাছে কাতর আবেদন তারা বাড়ি ফিরতে চান। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের উলিয়াড়া গ্রামে।
দীর্ঘ প্রায় দুবছর ধরে গ্রামের বাড়ি-ঘর ছেড়ে প্রাণ ভয়ে গ্রাম থেকে দূরে বিষ্ণুপুরে ভাড়া বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে। কিন্তু তৃণমূলেরই একাংশের আতঙ্কেই দু’বছর ধরে ঘরমুখো হতে পারেননি ৮৭ জন তৃণমূল কর্মী। এমনকী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানেরও দিন কাটছে গ্রাম থেকে দূরে ভাড়া বাড়িতে।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বছর দুয়েক আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুন হন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শেখ বাবর আলি। খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তাসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীদের। পালটা হামলার আশঙ্কায় খুনের রাতেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর ছাড়েন বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান সহ বেলিয়াড়া গ্রামের প্রধানের অনুগামীর পরিবারগুলি। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানও ঠাঁই নিয়েছেন ভাড়া বাড়িতে। যেতে পারছেন না পঞ্চায়েত অফিসেও। দীর্ঘ প্রায় দু বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে বসেই পঞ্চায়েতের কাজ করছেন তিনি।
আরও পড়ুন : Anupam Hazra: ক্ষতি স্বীকার করতে শিখুন, রাজ্য নেতৃত্বকে ফেসবুকে পরামর্শ অনুপম হাজরার
দীর্ঘদিন গ্রাম ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থেকে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাও ঠিক মতো হচ্ছে না বলে জানান তাঁরা। সংসার চালাতে কেউ ভাড়া করা টোটো চালাচ্ছেন, আবার কেউ বাড়ি বাড়ি কাজ করছেন। কেউ আবার ফেরি করছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসন এবং দলের তরফে বাড়ি ফেরানো হবে বললেও তা হয়নি। তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, ফের ঝামেলা যাতে না হয়, তাই ধীরে ধীরে এক এক করে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুলিসকে বলা হয়েছে বিষয়টি দেখতে।