সরকার চালানোর চাবিকাঠি এমনিতেই কার্যত বড় শরিক বিজেপির হাতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, এমনটাই মনে করে রাজনৈতিক মহল। আর এবার উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার মুখপত্র সামনায় রবিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবি করা হয়েছে, সরাসরি শিণ্ডে শিবিরের ২২ জন শিবসেনা বিধায়ক আপাতত বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। দল ভেঙে তাঁরা যে কোনওদিন পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে পারেন। অঙ্কের হিসেব বলছে ১৬৭ বিধায়কের এনডিএ জোটে আরও ২২ জন বিধায়ককে সঙ্গে পেলে ফড়বীশের শক্তি অনেকটাই বাড়বে। যার জেরে মোদী-অমিত শাহের অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ করে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিজেপিই হয়ে উঠবে শেষ কথা।
অত্যন্ত কড়া আক্রমণে লেখা ওই নিবন্ধে, সামনায়, ঠাকরে শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর উর্দি যখন মনে হবে খুলতে বাধ্য করবে পদ্ম শিবির। শিণ্ডে শিবিরের দাবি, যে কোনও মূল্যে আন্ধেরি-পূর্ব বিধানসভা আসনটিতে শিণ্ডেদের প্রার্থী দেওয়া প্রয়োজন ছিল। চাঁচাছোলা ভাষায় সামনার লেখা নিবন্ধে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা মহারাষ্ট্রের জন্য একনাথ শিণ্ডে যে ক্ষতি করল তার দাম একদিন অনেক মূল্য দিয়ে মেটাতে হবে। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে যতদিন প্রয়োজন ঠিক ততদিনই একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠীকে ব্যবহার করবে বিজেপি। আর স্বার্থ মিটে গেলেই ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হবে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে আর পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনে শিণ্ডে গোষ্ঠীর তরফে যে ভাল ফলাফলের দাবি করা হয়েছে তাও ভুয়ো বলে উড়িয়ে দেওয়া সামনায় প্রকাশিত নিবন্ধে। আর তারপরেই এক বিস্ফোরক দাবিতে উদ্ধব ঠাকরের মুখপত্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কোনওদিন তাঁর সঙ্গে থাকা ৪০ জন বিধায়কের মধ্যে ২২ জনের সমর্থন খোয়াতে পারেন একনাথ শিণ্ডে।