২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণদের তালিকায় কার নামই বা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh). সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) নাম রয়েছে। তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। এই সব নামের পরীক্ষার্থী থাকতেই পারে। কিন্তু একই সঙ্গে শাসক ও বিরোধী দলের প্রথম সারির এত নেতা-মন্ত্রীর নাম? এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, জল্পনা চলছে তা নিয়েও।
আদালতের নির্দেশে গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই তালিকা প্রকাশ করেছে। ১৮৩২ পাতার তালিকায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে। সেই তালিকাতেই নাম আছে এই রাজনীতিকদেরও। কারও নাম কারও নাম পাঁচবার, কারও নাম দুবার আছে। তালিকায় রয়েছে অমিত শাহের নাম। বাদ যায়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনকী তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামও।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ১০ লক্ষ পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা কালকের মধ্যেই, ঘোষণা মমতা
এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পর্ষদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারীদের মধ্যে একজনের নাম ছিল ব্রাত্য বসু। কর্নাটকের এক পরীক্ষাতেও অভিনেত্রী সানি নিওনের নাম উঠেছিল। এই রাজ্যেও একটি কলেজে ভর্তির তালিকায় সানি লিওনের নাম পাওয়া গিয়েছিল একাধিকবার।
টেটের উত্তীর্ণদের তালিকায় মমতা থেকে শুরু করে শাসক এবং বিরোধী দলের এত নেতার নাম নিছকই কাকতালীয় নাকি, এর পিছনেও কোনও গল্প রয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে শিক্ষা মহল। বিরোধী শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এমনিতেই তো শিক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারির কোনও শেষ নেই। টেট তালিকায় উত্তীর্ণদের মধ্যে এই সব নেতা-নেত্রীর অন্তর্ভুক্তি নতুন কোনও কেলেঙ্কারি নয় তো, প্রশ্ন এই সব সংগঠনে্র।
২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা অবিলম্বে তালিকা প্রকাশের দাবিতে আদালতের ত্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টে্র বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় দ্রুত তালিকা প্রকাশের নির্দেশ পর্ষদকে। তালিকা প্রকাশ না করা হলে ১১ ডিসেম্বরের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা বন্ধ করারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। অবশেষে ৭ নভেম্বর ২০১৭ সালের এবং ১১ নভেম্বর ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করে পর্ষদ। ২০১৪ সালের তালিকায় এত রাজনৈতিক নেতানেত্রীর নাম থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।