নয়াদিল্লি: বিবিসি ভারতের (BBC India) বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন বা ফেমায় (FEMA) মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতস্থিত ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন বিদেশি মুদ্রা আইন ভঙ্গ করেছে। এ ব্যাপারে বিবিসির ৬ কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের মধ্যে একজন বিবিসি ইন্ডিয়ার অন্যতম অধিকর্তা। সূত্রে জানা গিয়েছে, দুসপ্তাহ আগেই মামলা দায়ের হয়েছে। ফেমা-র আইনবিধি মোতাবেক কয়েকজন কোম্পানি এক্সিকিউটিভের কাছ থেকে বেশকিছু কাগজপত্র, তথ্য এবং তাঁদের রিপোর্টের ফাইলপত্র তলব করা হয়েছে।
ইডি-র অভিযোগপত্র হিসেবে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নীতি ভঙ্গের সূত্র মিলেছে। ইডি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা বিবিসি-র আরও এক কর্মীকে ডেকে পাঠিয়েছে। সঙ্গে করে ওই জাতীয় ফাইলপত্র নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (British Broadcasting Corporation – BBC)-এর দিল্লি এবং মুম্বইয়ের কার্যালয়ে আচমকা আয়কর (Income Tax – IT) দফতর হানা দেয়।
আরও পড়ুন: Corona Death Kolkata | ফের উদ্বেগ ফিরল বাংলায়, কলকাতায় করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু
এই হানাকে প্রাথমিক অবস্থায় সমীক্ষা (Survey) হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে আয়কর দফতর। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আয়কর দফতরের বক্তব্য হল, দিল্লি ও মুম্বইতে বিবিসি’র অফিসে (BBC Offices at Delhi and Mumbai) সার্ভে করতে এসেছে। কর ফাঁকি (Tax Evasions) সংক্রান্ত বিষয়ে এই তদন্ত অনুসন্ধান চালাতে এসেছে আয়কর দফতরের টিম। বিবিসির অফিসে হানা দিয়েই কর্মীদের মোবাইল ফোন (Mobile Phones) বাজেয়াপ্ত করে নেয় আয়কর দফতরের টিম। তারপরই তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। যতক্ষণ না হানা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ যেন সংবাদমাধ্যমের সামনে বক্তব্য না রাখেন, এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
আয়কর দফতরের (IT Department) সার্ভের সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন সংক্ষেপে বিবিসি (BBC)। এমনকী কারও কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিবিসি-র অভিযোগে বলা হয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাংবাদিকদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। কয়েকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার পর্যন্ত করেছেন আয়কর আধিকারিক এবং পুলিশকর্মীরা। সংবাদমাধ্যমের হিন্দি সংস্করণের কর্মী সর্বপ্রিয়া সাঙ্গোয়ান (Sarvapriya Sangwan) জানিয়েছেন, তাঁদের ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছিল, কম্পিউটার ঘেঁটে ফেলা হয়েছিল, এই সার্ভে নিয়ে কিছু লিখতে বারণ করা হয়েছিল।