জলপাইগুড়ি: কালচিনি ব্লকের লতাবাড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত তৃণমূল সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। গত ১৪ অগাস্ট পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের বৈঠক ছিল। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের জেরে সেই বৈঠক ভেস্তে যায় বোর্ড গঠনও স্থগিত হয়ে যায়। ২৫ আসনবিশিষ্ট লতাবাড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পায় ১৩টি আসন, বিজেপি ১১ এবং নির্দল পায় একটি আসন। বিজেপি দাবি, বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের কয়েকজন বিজেপিকে সমর্থন করেন। ওই দিন দেখা যায়, ২১৫ বুথের তৃণমূল সদস্য সঞ্জিলা নার্জিনারী বিজেপিতে যোগদান করেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ওই সদস্যকে অপহরণ করেছে।
বুধবার তৃণমূল লতাবাড়ি এলাকায় বিক্ষোভ দেখায়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া সঞ্জিলা এবং বিজেপি কর্মী গৌরী ঠাকুরের বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান চলে শাসকদলের। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, এটা সাধারণ মনুষের ক্ষোভের প্রতিফলন। যে মানুষ গুলি সঞ্জিলাকে ভোট দিয়েছেন। তাঁরাই এদিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতছাড়া
তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আনসারি বলেন, বিজেপি আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণ করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জনবার্লা বাড়িতে রেখে দিয়েছে। কালচিনির বিজেপি নেতা অলোক মিত্র অভিযোগ করেন এদিন তৃণমূলের কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর চালায়। পরিবারের সদ্যদের হুমকি দেয়। বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমূল বুঝে গিয়েছে লতাবাড়ির পঞ্চায়েত বোর্ড তারা দখল করতে পারবে না। তাই সন্ত্রাসের পথ ধরেছে।