কালনা: অসুস্থ (ill) স্বামীর (Husband) চিকিৎসার (Treatment) খরচ জোগাতে টোটো (Toto) চালান গৃহবধূ। টোটো চালিয়ে তাঁর সংসারও চালাতে হয়। পূর্বস্থলীর (Purbasthali) বেলেরহাটে টোটো চালক ওই বধূকে মারধরের (Beaten) অভিযোগ উঠল কয়েকজন টোটো চালকেরই বিরুদ্ধে। টোটো রুটের ‘দাদা’দের অনুমতি ছাড়া টোটোতে যাত্রী চাপানো যাবে না। আর তাই মহিলা (Woman) টোটো চালককে টোটো থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই মহিলা টোটো চালককে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্বস্থলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত বধূ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলী থানার মাজিদা পঞ্চায়েতের ডফরপোতা গ্রামের বাসিন্দা নেপাল হালদার পেশায় মৎস্যজীবি। স্ত্রী সরস্বতী হালদার, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। সাত মাস ধরে নেপালবাবু অসুস্থ৷ তিনি আর কাজ করতে পারেন না। তাই বাধ্য হয়েই স্ত্রী সরস্বতীদেবী টোটো চালাতে শুরু করেন৷ বেলেরহল্ট স্টেশন চত্বর থেকে তিনি যাত্রী চাপান টোটোতে৷ ওই বধূর অভিযোগ, কয়েকজন টোটো চালক বেশ কয়েকবার হুমকি দেয় বধূকে৷ তারা বলে তাদের অনুমতি ছাড়া যাত্রী তোলা যাবে না। অভিযোগ, শনিবার দুপুরে বেলেরহাট মনসা মন্দির চত্বর এলাকায় সরস্বতী দেবী তাঁর টোটোতে কয়েকজন যাত্রী চাপিয়ে ছিলেন। তখনই কয়েকজন টোটো চালক এসে বধূকে যাত্রী নামিয়ে দিতে বলে। এরপরেই সরস্বতীদেবীকে টোটো থেকে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়, ঘুষি মারে। আরও অভিযোগ, পাশের একটি দোকান থেকে এক টোটো চালক আখ নিয়ে এসে সরস্বতীদেবীকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতালের বাইরে সরঞ্জাম কিনতে হচ্ছে রোগীদের
এদিন হাসপাতালে সরস্বতী দেবী বলেন, আমাকে কয়েকজন টোটো চালক যাত্রী তুলতে দেয় না। টোটোর লাইনে দাঁড়াতে দেয় না। তাই বাধ্য হয়েই আমি বাইরে থেকে যাত্রী চাপাই৷ আমাকে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমি দিতে পারিনি৷ এরপরেও টোটোতে যাত্রী চাপিয়েছি বলে আমাকে মারধর করেছে কয়েকজন টোটো চালক৷ যদিও অভিযুক্ত টোটো চালকদের পালটা দাবি, ওই মহিলা যেখান থেকে খুশি যাত্রী তোলেন৷ আগে ওই মহিলা এক টোটো চালককে চড় মারেন৷ সেই সময় ঠেলাঠেলিতে ওই বধূ পড়ে যান। তাঁকে কেউ মারধর করেনি।
আরও খবর দেখুন