রাস্তার ধারে লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ কবে চা খেয়েছেন? বড় ক্যাফে ছাড়া কোথাও কি চকোলেট চা, মালাই চা ট্রাই করে দেখেছেন? উত্তর যদি না হয়, তবে একটা বারের জন্য যেতেই হবে রবীন্দ্র সরোবরের ‘তৃপ্তি ক্যাফেতে’। মেট্রো স্টেশনের ৬ নম্বর গেট। ফুটপাত পেরোলেই চায়ের দোকান। কেউ খেতে আসেন মালাই চা, কেউবা তুলসী চা, কেউ আবার কেশর চা। যার যেমন মন চায় আর কী! স্ট্রবেরি লস্যি থেকে শুরু করে চকোলেট মালাই লস্যি। হরেক রকম চায়ের স্বাদ নিতে ভিড়ে ঠাসা দোকান। তবে চা প্রেমীদের জন্য থাকছে সুখবর। স্বাধীনতা দিবসে তৃপ্তি নিয়ে এসেছে ‘তেরঙ্গা চা’। না গেলে বড্ড মিস করবেন।
অনেকেই বলেন, বাঙালিদের দিয়ে আর যাই হোক ব্যবসাটা হবে না। তাদের অন্তত একবার বলব বিজয়ের চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসার কথা। নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই দোকান মালিক বিজয় শীলের।
প্রতিদিন বিজয়ের চা বিক্রি হয় দু’হাজার কাপ। চায়ের দাম ৫ থেকে ৫০ এর মধ্যেই। কিন্তু বিজয়কে দেখে তা বোঝার নয়। অনুকূল ঠাকুরের শিষ্য বলে নিজেকে সবসময় পরিচয় দিয়ে থাকেন বিজয়। আর ঠাকুরের পঞ্চনীতি মেনেই তাঁর ব্যবসা।
https://kolkatatv.org/feature/book-subordination-day-on-college-street/
রাস্তার ধারে আর পাঁচটা চায়ের দোকানের মতোই এই দোকান, তাহলে এত জনপ্রিয় কেন?
আসলে বিজয় অভিজাত ক্যাফেরই চা দিচ্ছেন, তবে অত্যন্ত কম দামে। তার জন্য কিন্তু আলাদা করে কোয়ালিটিতে কোনও কম্প্রোমাইজ করছেন না তিনি। ব্র্যান্ডেড ফ্রেশ ক্রিম, চকলেট সিরাপ, স্ট্রবেরি, মিকি শেপড মিন্ট ফ্রেশনার, কেশর, সব কিছুই মজুত রয়েছে তাঁর ভাঁড়ারে। দুধ বা দই পরিমাণে যতটাই লাগুক না কেন, তাতে যেন কোনও কার্পণ্য না থাকে। দেওয়ার কায়দাও একেবারে নামীদামি ক্যাফের মতো । তাই তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে তাঁর এই চায়ের কোনও বিকল্প নেই।
বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ থেকে মিউজিকের ডিপ্লোমা করা বিজয়ের একটাই লক্ষ্য ‘গান’ গাওয়া। গান গেয়ে সকলের মন জয় করা। নামে যেমন ‘তৃপ্তি ক্যাফে’ তেমনি গানেও তৃপ্তি।
সুরকার বিজয়ের দু’ চোখে অনেক স্বপ্ন। নিজের সুরে বেশ কিছু অ্যালবামও রয়েছে তাঁর। সাধারণ থেকে নামি শিল্পীদের নিত্য আনাগোনা তার তৃপ্তি ক্যাফেতে।
তাই দেরি না করে চটপট ১৫ অগস্ট চলে যান তৃপ্তি ক্যাফেতে। অন্য চায়ের পাশাপাশি তেরঙ্গা চা ট্রাই করতে একদমই ভুলবেন না।