কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: স্বাধীনতার শতবর্ষ পরে আবারও বিপন্ন আফগানিস্তানের নাগরিকদের স্বাধীনতা। তালিবানি রাজ কায়েম হয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন করেচ বাঁচার লড়াই। গুলি-বোমা আর বারুদের গন্ধে তালিবানি উল্লাস মেনে নিতে পারছেন না ওই দেশের নাগরিকরা। দেশের পতাকাকে আগলে রাখতে চান সকলেই। হিংসা আর সন্ত্রাস নতুন নয়। এর আগেও তালিবানি হামলা আর নৃশংসতার সাক্ষী থেকেছেন আফগান নাগরিকরা। তাই মনের জোরকে হাতিয়ার করে স্বাধীনতার শতবর্ষ-পরে নতুন শপথে প্রত্যয়ী আফগানরা।
কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকলেও পূর্বপুরুষের শিকড় রয়েছে আফগানিস্তানে। কাবুলের অদূরে পাকতিকা গ্রামে পড়ে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা। কলকাতায় বসে টিভিতে, খবরের কাগজে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে তালিবানি হিংসা সন্ত্রাসে মন ছটফট করছে আসুলুদ্দিন খানের। স্বাধীনতার দিন আফগানিস্তানের রাজধানীর ছবিটা একেবারেই আলাদা। স্বাধীনতা উদযাপনে পতাকা হাতে অনেকেই মিছিলে পা মিলিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতার দিনেও কাবুল জুড়ে ভয়ের আবহ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কলকাতায় বসেও চোখ এড়ায়নি আসুলুদ্দিনের।
আরও পড়ুন – তালিবান বাহিনীর আফগানিস্তান দখলের নেপথ্যে
শুধু তালিবানি সন্ত্রাস নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অশুভ শক্তির আঁতাত বলে অভিযোগ করছেন আফগান নাগরিকরা। রাষ্ট্রশক্তির অসহায় আত্মসমর্পণ স্বাধীনতা রক্ষার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, কোনও অবস্থাতেই সন্ত্রাস মেনে নেওয়া যাবে না। নতুন করে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় চেষ্টার কসুর করছেন না আফগানিরা। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন কলকাতায় বাস করা আফগানিরা।
আরও পড়ুন- হোটেলের কাজে আফগানিস্তানে আটকে ৪ বঙ্গবাসী, উৎকণ্ঠায় পরিবার
অনেকেই প্রিয়জনদের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। কলকাতায় বসে সবসময় যোগাযোগও করতে পারছেন না। তালিবানি হামলার মুখে আফগানিস্তানের অনেক রাজনৈতিক নেতাই গা ঢাকা দিয়েছেন। সন্ত্রাসের আবহে ভাবমূর্তি রক্ষায় তালিবানি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করা কঠিন বলেই জানাচ্ছেন এ শহরের আফগানিরা। তাই আপাতত অস্থিরতা কাটিয়ে কাবুলের রাজপথে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এ যেন স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই।