কলকাতা: রাজ্যের সরকারী কর্মীদের মধ্যে দলীয় মতাদর্শ ঢুকিয়ে দিতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল। এমনই দাবি করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই মন্তব্য করেন দিলীপবাবু।
ঘটনার সূত্রপাত WBCS পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘিরে। রাজ্য সরকারের প্রকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন করা হয় WBCS পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই একই সুর শোনা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতির গলায়।
মঙ্গলবার দিলীপবাবু বলেন, “আপনারা জানেন, কীভাবে রাজনৈতিক প্রশ্ন করা হয়েছে। সেই নিয়ে সমাজে আলোচনা হচ্ছে।” বাম জমানা থেকেই এই ধারা চলছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “শ্চিমবঙ্গের রাজনীতি একসময় লাল ছিল, এখন সবুজ হচ্ছে।” এরপরেই তিনি বলেন, “যারা গেরুয়াকরণের গল্প বলতেন, তারা আজ রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরি করার চেষ্টা করছে।”
আরও পড়ুন- ‘পাকিস্তানে চলে যা!’ হুমকি দিয়ে মুসলিম ব্যক্তিকে মারধোর, গ্রেফতার পাঁচ
এখানেই শেষ হয়ে যায় রাজ্য সরকারে প্রতি বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির আক্রমণ। তিনি বলেন, “স্কুল থেকে শুরু করে WBCS আধিকারিক- সবাই যেন রয়াল হন পার্টির প্রতি। যে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার জন্য সেখানে পার্টির প্রশ্ন করা হচ্ছে।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে যে এর আগে UPSC পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রশ্ন এসেছিল। যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই। কিন্তু তখন নীরব ছিলেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। এরপর যখন WBCS পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রাজ্যের প্রকল্পের একাধিক প্রশ্ন এল, তখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলটে শুরু করেছেন তাঁরা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, UPSC’র ক্ষেত্রে কেন নীরবতা পালন করেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল?
আরও পড়ুন- মার্কিন সেনাদের খাওয়ানোর পুরস্কার, আফগানিস্তান থেকে বাড়ি ফিরলেন বাদুরিয়ার কপিল
তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ না হলে পুজোর পর স্কুল খুলবে বলে সোমবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দাবিও করেছেন তিনি। যা নিয়ে এ দিন সকালে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, “স্কুল অনেক জায়গা খুলে গিয়েছে। ট্রেন চালু হয়েছে। আর যদি মনে করেন যে বিপদ আছে তালে ভোট চাইছেন কেন? সেই কারণেই এই রকম পরস্পর বিরোধী কথা বলা হচ্ছে উচিত নয়। যথেষ্ট চিন্তাভাবনা না করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”