দিল্লিতে ৪৭ কেজি নকল সোনা বন্ধক রেখে লোন নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার তিনজন। ২০১৩ সালের ঘটনা। বিজয় মনচন্দা ও তার এক আত্মীয় আর সঙ্গী-সাথীকে ব্যাঙ্ক থেকে ১১ কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়। পরিবর্তে বিজয় ৪৭ কিলো সোনা ব্যাঙ্কে বন্ধক রাখে। পরে দেখা যায় জমা রাখা সোনার ওজন কম। সন্দেহ হওয়ায় পরীক্ষা করালে দেখা যায় ৪৭ কেজি সোনাই নকল।
আরও পড়ুন: ৩ কোটি টাকার আফিম সমেত গ্রেফতার
দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক জানান, ধন লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক যারা সোনা বন্ধক রেখে লোন দেওয়ার ব্যবসা করে, সেখান থেকে অভিযোগ আসে ১১ কোটি টাকা লোন দেওয়ার ঘটনায় একটা গড়বড় হয়েছে বলে। ঘটনার শুরুটা এরকম ২০১৩ সালে বিজয় মনচন্দা, তার আত্মীয় ও সঙ্গীসাথীরা ধনলক্ষ্মী ব্যাঙ্কে ৪৭ কিলো সোনা বন্ধক রেখে ১১ কোটি টাকা লোন নেয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায়, খতিয়ে দেখতে গিয়ে বোঝা যায় বন্ধক রাখা সোনা নকল। ধনলক্ষ্মী ব্যাঙ্কের করোলবাগ শাখার ম্যানেজার আশীষকুমার ও কনটপ্লেস শাখার ম্যানেজার রঞ্জন শর্মা যৌথভাবে এই লোন দেয়।
আরও পড়ুন: ডেল্টা প্লাস নিয়ে সতর্কবার্তা এইমস প্রধানের
দিল্লি পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা এই মামলায় ১০ জন অভিযুক্ত আর ২ ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে আগেই গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করে। এখন পুলিশ বিজয় মনচন্দার স্ত্রী মীনু মনচন্দা ও তার দুই কর্মচারী নরেন্দ্র শর্মা ও বিজয় শর্মাকেও গ্রেফতার করেছে। এর আগে একই ঘটনায় অভিযুক্ত ১২ জন গ্রেফতার হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যাঙ্ক কর্মীও রয়েছেন।