কলকাতা: বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। ২০১৯ সালের পুজোর মুখে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সব্যসাচী। এর আগে ২০২০ সালেও তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে তা জল্পনা স্তরেই রয়ে যায়। সম্প্রতি ফের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন সব্যসাচী। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার আগে স্বয়ং মমতা সব্যসাচীকে দলে নিয়ে নিতে বলেন।
এর পর দুপুর ৩টে নাগাদ বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে যান সব্যসাচী। তার পর দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। সব্যসাচীর যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। পার্থ বলেন, মমতার অনুমোদনে সব্যসাচীকে দলেও নেওয়া হল।এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে বিধাননগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়লেও সুজিত বসুর কাছে হেরে যান সব্যসাচী।
আরও পড়ুন: লখিমপুর নিয়ে ‘বেসুরো’ সব্যসাচী, তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিত?
সব্যসাচী বলেন, ‘কিছু ভুল হয়েছিল বলেই দল ছেড়েছিলাম। আবেগতাড়িত হয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। মমতাদি আমায় গ্রহণ করেছেন। আজ থেকে নতুনভাবে পথচলা শুরু হল। দল যেভাবে বলবে সে ভাবেই কাজ করব।’ বুধবারই লখিমপুর নিয়ে সুর চড়ান সব্যসাচী। তিনি বলেন, এই কাণ্ড যারাই ঘটাক তাঁদের কঠোর শাস্তি, এমনকী ফাঁসি হওয়া উচিত। লখিমপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীয় এই আচরণকে কার্যত আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গেও তুলনা করেন সব্যসাচী।
বোঝাই গিয়েছিল, সব্যসাচীর দলবদল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পদে ছিলেন সব্যসাচী। শুধু তাই নয়, খড়দহের উপনির্বাচনে তাঁকে বিশেষ দায়িত্বও দেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সব্যসাচীর দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, উনি যেচেই বিজেপিতে এসেছিলেন। আমরা ওঁকে ডাকিনি। ফলে আজ তিনি চলে যাওয়াতেও আমাদের কিছু বলার নেই। বিজেপি কর্মী নির্ভর দল বলেও দাবি করেন শমীক।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন মমতা, আমন্ত্রণ জানানোর পরও অনুপস্থিত বিজেপি বিধায়করা