skip to content
Friday, September 13, 2024

skip to content
HomeআজকেAajke | দিলু ঘোষ বা শুভেন্দু এবার টিয়াপাখি নিয়ে রাস্তায় বসুন

Aajke | দিলু ঘোষ বা শুভেন্দু এবার টিয়াপাখি নিয়ে রাস্তায় বসুন

Follow Us :

সংসদীয় গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ থাকবে, বিরোধী পক্ষ থাকবে, একে অন্যকে আক্রমণ করবে আবার তেমন ইস্যুতে একসঙ্গে মিলে রাজ্যের বা মানুষের স্বার্থে কাজ করবে এটাই কাম্য। এটাই এক আদর্শ সংসদীয় ব্যবস্থা। কিন্তু আমরা সেই আদর্শ ব্যবস্থা থেকে ক্রমশ সরে এসেছি। ক্রমশ সরকার পক্ষ আর বিরোধী পক্ষের বিরোধিতা হয়ে উঠেছে সাপ আর বেজির লড়াই। কাম হোয়াট মে, একে অন্যের বিরোধিতা করবেই, এবং এ জিনিস আজ নয়, বহুকাল আগে থেকেই এই জিনিস শুরু হয়েছে। সরকার পক্ষ যাই করুক বিরোধী পক্ষ তার তীব্র বিরোধিতা করবে, এটাই এখন স্বাভাবিক। দুর্গাপুজোয় কলকাতার রাজপথে এক কার্নিভাল, আলোর রোশনাই, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি, কিন্তু বিরোধীরা বিরোধিতা করছেন, সরকারের কি কোনও কাজ নেই? এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন, তখন তিনিও করেছেন। বন্যায় ত্রাণ দিতে যাওয়া মন্ত্রীর মুখে কালি মাখানো হয়েছে, ওসির চেয়ার দখল করে বসে পড়া হয়েছে। এসব তখনও হয়েছে এখনও হচ্ছে আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের এই চেহারাটার সঙ্গে নিজেদেরকে মানিয়েই নিয়েছি। ধরেই নিয়েছি আগুন লাগলে সরকারের মন্ত্রী সান্ত্রীরা যতই হাজির থাকুক, যতই তৎপরতা দেখাক, বিরোধী দল মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাবে, এটাই এখন দস্তুর। মোদিজি আসার পরে জাতীয় রাজনীতিতে এই চরম বিরোধিতার রাজনীতি এক অন্য পর্যায়ে গেছে। আমরা এর আগে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সে রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে চোর, জেলে পোরা উচিত, লুটেরা, ডাকু হ্যায়, হিন্দুবিরোধী ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করতে দেখিনি। নেহরু তো ছেড়েই দিলাম, পরবর্তী কোনও প্রধানমন্ত্রী সে অটল বিহারী বাজপেয়ীই হন বা ইন্দিরা গান্ধী কেউই এই নিচুতে নামার কোনও দৃষ্টান্ত রেখে যাননি। কিন্তু তবুও এটা ওই তীব্র বিরোধিতারই অঙ্গ, ভোটপ্রচারে গিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীও লাগামছাড়া প্রচার করছেন। এবং সেটাও মানুষ মেনে নিচ্ছেন, মেনে না নিলেও অন্তত অভ্যস্ত হচ্ছেন। কিন্তু এখন আরেক নতুন জিনিস আমরা দেখতে পাচ্ছি, আর এক নতুন পদ্ধতি। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা বিধানসভাতে, সাংবাদিকদের সামনে, মিটিংয়ে, পথসভায় প্রকাশ্যেই বলছেন, তোমার ঘরে ইনকাম ট্যাক্স রেড করিয়ে দেব, সিবিআই পাঠিয়ে দেব, ইডি রেড করিয়ে দেব। এবং তা হচ্ছেও। এই পদ্ধতি নতুন এবং ভয়ঙ্কর। আজ সেটাই বিষয় আজকে, দিলু ঘোষ বা শুভেন্দু এবার টিয়াপাখি নিয়ে রাস্তায় বসুন।

শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভাতেই দাঁড়িয়ে বলছেন ইনকাম ট্যাক্স পাঠিয়ে দেব, বিধানসভার বাইরে বলছেন, ভাইপো এবার নোটিস পাবে, বলছেন বালু আর বের হতে পারবে না, বলছেন কালীঘাটের কাকুর কাছ থেকে সব বের হবে। এবং আমরা এরপরেই দেখছি ইনকাম ট্যাক্সের তৎপরতা বাড়ছে, ইডি নোটিস পাঠাচ্ছে, অভিষেককে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এগুলো কি কাকতালীয়? কাক সেই তালের উপরেই বসছে যে তাল পড়েই যাবে? নাকি এসবের বাস্তব ভিত্তি আছে। সে তর্ক না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু দিল্লির তখতে বসে থাকা এক দলের রাজ্য নেতা যখন এগুলো বলেন তখন পরিষ্কার মনে হয় বা মানুষ বুঝতে পারেন যে এ রাজ্যের বিরোধী দল, দেশের শাসকদল তার প্রশাসনকে কাজে লাগাচ্ছে। প্রতি পদেই তা পরিষ্কার, এবং এ এক বিপজ্জনক রাজনীতি।

আরও পড়ুন: Aajke | মহুয়া মৈত্রের পাশে দল নেই?

কেন? কারণ সংসদীয় রাজনীতিতে আজ না হয় কাল না হয় পরশু সরকার বদলাবে, বদলাবেই। তখন আজকের বিরোধী দল ক্ষমতায় বসবে, সেই দল আরও মারাত্মকভাবেই কাজে লাগাবে প্রশাসনকে, বিজেপি, মোদি-শাহ দেশের সাধারণ গণতান্ত্রিক ধ্যানধারণাগুলোকেও শেষ করতে চান। এ জিনিস যে হবেই তা আজকে বিরোধী দলের কাছে যে রাজ্য সরকার আছে তাদের কাজকর্ম দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তারাও তাদের সীমিত ক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে। রাজ্যের পুলিশ, সিআইডি বিরোধী দলের নেতাদের হ্যারাস করছে, তাদের মিছিল মিটিংয়ে বাধা দিচ্ছে, টিট ফর ট্যাট আর কী। কিন্তু এটা কি এক সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ? আমরা সেটাই জিজ্ঞেস করেছিলাম আমাদের দর্শকদের। প্রশ্ন ছিল, মোদি–শাহ সরকার যেভাবে তাদের এজেন্সিগুলোকে, সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স ইত্যাদিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হ্যারাস করছে, বিরোধীদের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছে, তারা ক্ষমতা থেকে সরে গেলে আজকের বিরোধীরাও কি ঠিক এইটাই করার চেষ্টা করবে না? রাজনীতি এক প্রতিহিংসামূলক গোলকধাঁধায় ঢুকে যাবে না? শুনুন দর্শকেরা কী বলছেন।

তো এই প্রশ্ন আমরা করেছিলাম রাজ্যের বিরোধী নেতাদেরও। তাঁরা এক বাক্যে জানিয়েছেন, আইন আইনের মতো চলছে, নেতারা কিছু কথা বলছেন, তা মিলে যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এরকম নয় যে সিবিআই বা ইডি বিজেপি রাজ্য নেতাদের নির্দেশ মতোই কাজ করছে। তিনি তো বলেই খালাস, কিন্তু আমার মনে এই কথাগুলো শোনার পরে এক নতুন ভাবনার জন্ম নিল। শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলু ঘোষ, কার বাড়িতে ইনকাম ট্যাক্স যাবে, কার বাড়িতে ইডি যাবে, কাকে জেলে পুরেই রাখা হবে, জামিনও পাবে না, কাকে ইডি নোটিস পাঠাবে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও নাকি নোটিশ পেতে চলেছেন, এসব যিনি বলে যাচ্ছেন, ওনাদের তথ্যসূত্র কি টিয়াপাখি? রাস্তার ধারে খাঁচায় বসে থাকা ভাগ্য বলে দিতে পারে এরকম টিয়াপাখি নিয়েই কি শুভেন্দু অধিকারী বা দিলু ঘোষের কাজ কারবার? তাহলে বসুন, বসে পড়ুন গান্ধীমূর্তির তলায়, অর্থনৈতিক এই দোদুল্যমান সময়ে আপনাদের জ্যোতিষবিদ্যা বেচে দুটো পয়সা রোজগার করলেও তো কাজ দেবে।

 

 

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Bhatpara | ব্যাগ ভর্তি বোমা, ভাটপাড়ায় ভয়াবহ ঘটনা
40:31
Video thumbnail
Junior Doctors | কতজন জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিলেন? জানতে চাইল রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা
07:36:16
Video thumbnail
Sitaram Yechury | ২৫ দিনের যুদ্ধ শেষ, প্রয়াত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি
07:25:15
Video thumbnail
Mamata Banerjee | ২ ঘন্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা, সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, দেখুন নবান্ন থেকে সরাসরি
05:03:56
Video thumbnail
Mamata Banerjee | লাইভ স্ট্রিমিং কেন নয়? ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
04:55:00
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (12 September, 2024)
09:37
Video thumbnail
চতুর্থ স্তম্ভ (Fourth Pillar) । উৎসব কাদের? উৎসব কী? উৎসবে নেই কারা?
10:56
Video thumbnail
Weather Update | ফের নিম্নচাপ জারি হলুদ সতর্কতা, প্রবল বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?
11:02:46
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | কলকাতার সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা আছেন কেন?
11:28
Video thumbnail
Nabanna | Doctor Protest | নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী - জুনিয়র ডাক্তার বৈঠক শুরু হল না, দেখুন সরাসরি
04:05:00