শাহডোল (মধ্যপ্রদেশ): জাতিগণনার (Caste Census) সপক্ষে আওয়াজ তুলে ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সত্যের কঙ্কাল বেরিয়ে আসবে। রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলা শাহডোলে এক জনসভায় রাহুল বলেন, জাতিগণনা করার জন্য কেন্দ্রকে আমরা চাপ দেব। পিছড়েবর্গ, দলিত এবং আদিবাসীদের জন্যে কোন সত্য চাপা পড়ে আছে, তা এই এক্স-রে পরীক্ষায় বেরিয়ে আসবে। ভিতরের কঙ্কালটা দেখা যাবে।
আদিবাসী ভাবাবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে ওয়েনাড়ের সাংসদ বলেন, আদিবাসীদের কী অধিকার দেওয়া হয়েছে? ওবিসি এবং তফসিলি উপজাতিদের কোন ভাগটা দেওয়া হয়েছে? এটাই এখন দেশের সামনে সবথেকে বড় প্রশ্ন। আর সে জন্যই আমরা জাতিগণনার উপর জোর দিচ্ছি। আমরা এটা করেই ছাড়ব। উল্লেখ্য, সোমবারই নির্বাচন কমিশন মধ্যপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। তার পরদিনই রাহুল কংগ্রেসের প্রচারের ফিতে কেটে দিলেন।
আরও পড়ুন: ১৮ হাজার ভারতীয় আটকে ইজরায়েলে
মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আরও বলেন, লালকৃষ্ণ আদবানি একটি বইতে লিখেছিলেন, প্রকৃত অর্থে বিজেপি-আরএসএসের পরীক্ষাগার গুজরাত নয়, মধ্যপ্রদেশ। আর বিজেপির সেই পরীক্ষাগারেই আজ মৃতের চিকিৎসা করে টাকা লুট করা হয়। এই পরীক্ষাগারেই প্রতিদিন তিনজন কৃষক আত্মহত্যা করেন। এসব ভারতের কোনও প্রান্তে হয় না, মধ্যপ্রদেশে হয়, দাবি রাহুলের।
ব্যাপম কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এক কোটি যুবকের ভবিষ্যৎ তছনছ হয়ে গিয়েছে। চারজন খুন হয়েছেন। ডাক্তারি পড়ার আসন বিক্রি হয় এবং ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এই কাহিনি এখানেই শেষ নয়। গত ১৮ বছরে এই রাজ্যে ১৮ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। বিজেপির এই পরীক্ষাগারে নেতারা আদিবাসীদের গায়ে প্রস্রাব করেন। যে রাজ্যের প্রশংসা করে গিয়েছেন আদবানি।
প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর এই মহা সমাবেশের কারণ ছিল বিন্ধ্য অঞ্চলে কংগ্রেসের হারানো জমি পুনরুদ্ধার। কারণ, ২০১৮ সালের ভোটে এই অঞ্চলের ৩০ আসনের মধ্যে মাত্র ৬টিতে জিতেছিল হাতের প্রার্থী। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শাহডোল জেলায় এসেছিলেন জুলাই মাসে। ২৩০ সদস্যবিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিজেপি ভোট ঘোষণার আগেই ১৩৬ জন প্রার্থীর নাম জানিয়ে রেখেছে।
দেখুন অন্য় খবর