এগারো টিমের আই এস এল-এ কিছু দিনের জন্য এস সি ইস্ট বেঙ্গল উঠেছিল দশ নম্বরে। কিন্তু কদিন আগে বেঙ্গালুরু এফ সি-কে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড হারিয়ে দেওয়ার পর আবার ইস্ট বেঙ্গল নেমে গেছে এগারো নম্বরে। তাদের খেলা বাকি আছে আর তিনটি। তার প্রথমটাতে তারা মঙ্গলবার মারগাওয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে মুম্বই সিটি এফ সি-র। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই এবার এখনও প্লে অফ-এর চার টিমের মধ্যে ঢুকতে পারেনি। সতেরো ম্যাচে তাদের পয়েন্ট পঁচিশ। তারা এখন আছে পাঁচ নম্বরে। মঙ্গলবার তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে ইস্ট বেঙ্গলকে হারাবার জন্য।
পারবে কি ইস্ট বেঙ্গল মুম্বইকে রুখতে? অসম্ভব বলে ফুটবলে কিছু হয় না। তাহলে তো শক্তিশালী বেঙ্গালুরুকে হারাতে পারত না খালিদ জামিলের নর্থ ইস্ট। আর প্রথম লিগে ইস্ট বেঙ্গল ও মুম্বইয়ের খেলার ফল ছিল গোলশূণ্য। সে ম্যাচের কোচ ছিলেন রেনেডি সিং। ভারতীয় ফুটবলারদের দিয়ে তিনি রুখে দিয়েছিলেন মুম্বইকে। কিন্তু মারিও রিভেরা তো সেই ম্যাচের নায়কদের পাচ্ছেন না। এ বছরের আই এস এল-এ ইস্ট বেঙ্গলের সেরা ফুটবলার হীরা মণ্ডলকে মুম্বইএর বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে না। চারটে হলুদ কার্ড দেখেছেন হীরা। একটা ম্যাচ তাঁকে বসতে হচ্ছে। নবাগত লেফট ব্যাক নওচা সিংকেও পাওয়া যাবে না। তাই দুই সাইড ব্যাকে কাকে খেলান মারিও তাই এখন দেখার। তবে সেন্টার ব্যাকে ফ্রানিও পার্সে, এবং মাঝ মাঠে ফ্রান সোতা এবং আন্তোনিও পেরোসেভিচ অবশ্য থাকবেন। এদের সঙ্গে মার্সেলো থাকলে ভাল হত। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ান তো এখন কোচের পছন্দের তালিকায় নেই। তাই অমরজিৎ কিয়াম, মহেশ সিং, আঙ্গু, সৌরভ দাসদের মতো প্লেয়াররাই ভরসা। ডিফেন্সে ফ্রানিও পার্সের পাশে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে জয়নার খারাপ খেলেননি। হয়তো আদিল শেখকে না নামিয়ে তাঁর উপরেই নির্ভর করতে হবে মারিওকে।
মুম্বইয়ের মিডফিল্ডার মরক্কোর আহমেদ জুহু খেলতে পারবেন না। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি চোট পেয়ে বসে যান মাঝ পথে। এখনও ফিট নন। তবে ডিফেন্সে মোর্তাদা ফল এবং ফরোয়ার্ডে ইগর অ্যাঙ্গুলো থাকায় মুম্বই হীনবল নয়। এদের সঙ্গে উইঙ্গার বিপিন সিং কিংবা বিক্রম সিং, ডিফেন্সে রাহুল বেকেরা মুম্বইয়ের বড় শক্তি। ম্যাচটা জিততে দেশ বাকিংহামের দল ভীষণ রকম উন্মুখ। ভাঙা দল নিয়ে ইস্ট বেঙ্গল কতটা লড়াই করতে পারে তাই এখন দেখার।