কালনা: তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে রটনেস্ট ও ক্যাটারিনা চ্যানেল জয়ের সম্মান। এবার তাঁর লক্ষ্য আরও কঠিন। সুদূর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল। সেই কঠিন বাধা অতিক্রমের লক্ষ্যে তিনি অনুশীলন শুরু করেছেন পুরীর পর ভাগীরথীতে। লক্ষ্যে অবিচল কালনার জলকন্যা সায়নী দাস। আগামী ২৭ মার্চ উড়ে যাচ্ছেন সায়নী মলোকাই চ্যানেল পার করার উদ্দেশ্যে।
এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মলোকাই চ্যানেলে নামার কথা ছিল সায়নীর। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত সম্মতিও মিলেছিল। সারা হয়ে গিয়েছিল সমস্ত প্রস্তুতিও। কিন্তু করোনা আবহের জেরে বাতিল করতে হয় সেই কর্মসূচি। তত দিনে ২০১৭, ২০১৮, ২০১১-এ তিনি অতিক্রম করে ফেলেছেন ইংলিশ চ্যানেল, রটনেস্ট ও ক্যাটারিনা চ্যানেল। কিন্তু প্রস্তুতি নিয়েও থমকে যায় তাঁর মলোকাই চ্যানেল অভিযান। তবে হতাশ হলেও স্থানীয় পুকুরে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চালিয়ে গিয়েছেন সায়নী।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের ৪৪ কিমি দূরত্বের এই চ্যানেল পার হওয়া বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। সায়নীর বাবা তথা প্রশিক্ষক রাধেশ্যাম দাস বলেন, এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে মলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার জন্য নামছেন সায়নী। এর আগে ভারত থেকে দু’জন পুরুষ সাঁতারু মলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার জন্য পারিদিয়েছিলেন। এই চ্যানেল পার করতে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। সেই কারণে পুরীর সমুদ্রে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ সেরে ফেলেছেন। এখন প্রশিক্ষণ করছেন ভাগীরথীতে।
আরও পডুন: Rampurhat Violence: পোড়া গন্ধ টপকে এখনও অক্সিজেন ঢুকছে না বগটুইয়ের তালা বন্ধ ঘরগুলোতে
প্রশান্ত মহাসাগরের মলোকাই চ্যানেল পার হওয়ার অন্যতম সমস্যা জলের ভিতরে হাঙ্গরের মতো ভয়ঙ্কর জলজ প্রাণীর আনাগোনা। এসব কারণেই ইচ্ছে থাকলেও বহু সাঁতারুই মলোকাই চ্যানেলে নামতে চান না। তবে শার্ক শিল্ড পড়ে জলে নামবে সায়নী।
সায়নী বলেন, প্র্যাকটিসে কোনও খামতি রাখতে চাই না। তাই প্র্যাকটিসের জন্য পুরীর সমুদ্রকেই বেছে নিয়েছিলাম। এখন ভাগীরথী। রোজ সকালে চার ঘণ্টা করে প্র্যাকটিস করছি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, পুরীর সমুদ্রে জেলিফিসের আক্রমণ অনুভব করেছি। মলোকাইয়েও এমন জলজ প্রাণীর আক্রমণ সামলাতে হবে। ওখানে হাঙর একটা বড় চিন্তা। সেজন্য শার্ক শিল্ড নেব। রটনেস্টেও হাঙরের সমস্যা ছিল। তবে এখানে আরও বেশি মুখোমুখি হতে হবে এই সমস্যার।
আরও পডুন: Rapurhat Violence: বগটুই হত্যাকাণ্ডে আরও দু’জনকে আটক করল রামপুরহাট থানার পুলিস
তবে এবার আশার কথা,স্পনসর মিলেছে সায়নীর। রাধেশ্যাম বলেন, এবার কয়েকজন স্পনসর এগিয়ে এসেছে। ঐখানকার প্রবাসী বাঙালিরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। রাজ্য সরকারের কাছেও আবেদন করা হবে। সব মিলিয়ে অর্থ খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন সায়নীর বাবা রাধেশ্যাম।