কলকাতা: দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের পাথর খাদান মালিক এবং ক্রাশার মালিক-শ্রমিকদের জন্যও বিশেষ আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাথর খাদান মালিকদের কাজ বামফ্রন্টের আমলে শুরু হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হলেও পরে কোনও পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁদের ক্ষতিপূরণের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে।
দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লক এলাকায় ৯ থেকে ১০টি খাদান রয়েছে। কলকাতা টিভি ডিজিটালের কাছে যে রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে, তাতে স্পষ্ট নয় ঠিক কতজন পাথর খাদান মালিক রয়েছেন। সূত্রের খবর, জমির চরিত্র অনুযায়ী খাদান মালিকদের কাঠা প্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকা করে এককালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভাড়াবাড়িতে থাকা পরিবার এবং জবরদখলকারীদের জন্যও ক্ষতিপূরণ, মিলবে বাড়িও
দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লক এলাকায় প্রায় ২৮০ জন ক্রাশার মালিক রয়েছেন। তাঁরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। পাথর খাদান মালিকদের মতোই জমির চরিত্র অনুযায়ী কাঠা প্রতি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬৫ হাজার টাকা পাবেন তাঁরা। এ ছাড়াও প্রায় ৩ হাজার জন ক্রাশার শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এ ছাড়াও প্রতিদিনের খরচ, জীবিকা চালানোর খরচ হিসেবে পরিবার পিছু মাসিক দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে শ্রমিকদের। এই টাকা ১ বছর পর্যন্ত মিলবে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের দিওয়ানগঞ্জ-হরিণডাঙা অংশের দিক থেকেই প্রথম খননের কাজ শুরু হবে। তার আগেই ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সম্পূর্ণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের আর্থিক ক্ষতিপূরণ চূড়ান্ত, কলকাতা টিভি ডিজিটালের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
বাম আমলে এই এলাকায় পাথর খাদানের কাজ শুরু হয়। ৩৪০০ একর জমিতে ১১৭৮ মিলিয়ন হেক্টর কয়লা জমা রয়েছে। ১১৪৮ মিলিয়ন হেক্টর ব্যাসল্টও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা আগে সরকারি জমিতে কাজ শুরু করব। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য জায়গায় জমি নেওয়া হবে। যে জমিতে কেউ নেই (সরকারি জমি), সেখানেই কাজ শুরু হবে। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খনি হতে চলেছে। সেটা হলে কয়লা জোগান বাড়বে, বিদ্যুৎ সস্তা হবে।’