দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রবিবার থেকে শুরু হল ঐতিহ্যের ইছামতী নদী (Ichamati River) সংস্কারের কাজ। প্রথম ধাপে নদীর (River) কচুরিপানা তোলার কাজ হবে। রবিবার উত্তর চব্বিশ পরগনার (North 24 Parganas) বেড়িগোপালপুর-তরণীপুর থেকে এই কাজ শুরু হয়। তেঁতুলিয়া থেকে কালাঞ্চি পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে কাজ হবে। প্রায় ২৪ কিলোমিটার কাজ হবে ইছামতীর। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) সহ জল ও নদী দফতরের আধিকারিকরা।
নদী সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) জানান, বিগত দিনে কোনও সংসদ এখানকার মানুষ ছিলেন না। আর আমি এখানকার ভূমিপুত্র। সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝি। এখানকার সমস্ত সার্বিক বিষয়টা আমি জানি, তার জন্যই ভারত সরকারের সহযোগিতায় আমি সাধারণ মানুষের পাশে আছি।
আরও পড়ুন:Elephant Attack | ঝাড়গ্রামের পর হাতির তাণ্ডব এবার মেদিনীপুরে, মৃত দুই মহিলা
সংস্কারের অভাবে স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী (Ichamati River) নাব্যতা হারিয়ে অনেক দিন ধরেই মৃতপ্রায়। পলি জমে নদী গতিপথ হারিয়েছে। নদীতে এখন আর জোয়ার-ভাটা খেলে না। নদীর এই করুণ পরিণতির ফলে ফি বছর বর্ষায় বনগাঁ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে জলবন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়। বাসিন্দাদের কথায়, শহরের নিকাশি ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইছামতী নদী। অতীতে বৃষ্টির জমা জল ইছামতী হয়েই বেরিয়ে যেত। এখন নদীর জলধারণ ক্ষমতা নেই। ফলে জমা জল তো বের হয়ই না, উল্টে নদীর জল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, আন্দোলের পর অবশেষে রবিবার সংস্কারের কাজ শুরু।
উল্লেখ্য, খাতায়-কলমে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের পাবাখালি এলাকায় চূর্ণী ও মাথাভাঙা নদীর সংযোগস্থলে মাথাভাঙা নদী থেকে ইছামতীর সৃষ্টি। যদিও এখন কার্যত কোনও উৎস মুখ নেই আন্তর্জাতিক ওই নদীটির। ২০০৫ সাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের পক্ষ থেকে কয়েক বার পলি তুলে নদী সংস্কারের কাজ হলেও ইছামতীর হাল ফেরেনি। বনগাঁ (Bangaon) শহরে নদী ড্রেজ়িং করে কখনও পলি তোলা হয়নি। নদী বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, পাবাখালিতে ইছামতীর উৎসমুখ সংস্কার জরুরি।