বসিরহাট: প্রাথমিক তদন্তের পর বসিরহাট কাণ্ডে নয়া মোড়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই এলাকায় ১৬০০ বিঘা খাস জমি রয়েছে। সেখানে মাছ চাষ করা হয়। ওই মাছ চাষের টাকা রাখা হয় মোহনপুর টেংরা মারি মাভেরিক ফান্ডে। সেই টাকা দিয়ে গ্রামের উন্নয়ন করা হয়। তবে, ফান্ডে কয়েক লক্ষ টাকা জমা পড়ে রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে উন্নয়নে কোনও কাজ হয়নি। গ্রামবাসীদের সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সেই কারণে প্রায়শই অশান্তি হয়।
আরও পড়ুন- শহিদ দিবসের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি
২১ জুলাই এই সংঘর্ষ চরমে পৌঁছয়। গ্রামে জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল সভা শুনছিলেন তৃণমূলকর্মীরা। ওখানেই শুরু হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল নেতা তপন রায় ও যজ্ঞেশ্বর প্রামানিকের গোষ্ঠী সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। প্রথমে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়৷ সেখান থেকে মারামারি-হাতাহাতি এমনকী গুলিও চলে৷ সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের লক্ষ্ণী বালার এবং বছর ১৮-র সঞ্জীব জানার। বুধবারের সংঘর্ষের পর কামব্যাক ফোর্স এবং পুলিশ পিকেট বসানো হয়।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩১ জনের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৯ জনকে আটক করেছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। জেরার জন্য চাওয়া হবে পুলিশি হেফাজত চাওয়া হবে। ঘটনার মূল কারণ খুঁজতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মূল অভিযুক্ত যোগেশ্বর প্রামাণিকের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।