ধূপগুড়ি: দীর্ঘদিনের প্রেম৷ প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটানো৷ এ দিক সে দিক ঘুরতে যাওয়া৷ একে-অপরের বাড়িতে যাতায়াত৷ সব কিছু ভালোই চলছিল সঙ্গীতার জীবনে৷ কিন্তু আচমকা প্রেমে বিচ্ছেদ৷ চাকরি পেয়ে প্রেমিকার উপর মন উঠে যায় প্রেমিক শুভঙ্করের৷ তাঁকে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় সে৷ কিন্তু সঙ্গীতা যে তাঁকেই বিয়ে করতে চান৷ তাই বিয়ের দাবিতে শুভঙ্করের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন তিনি৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ধূপগুড়িতে৷
ধূপগুড়ি ব্লকের কালিরহাটে বাড়ি শুভঙ্কর রায়ের৷ পেশায় এখন তিনি শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক৷ অন্যদিকে কাঠুলিয়া এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী মোরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মী৷ এ দিন সকাল থেকেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে পড়েন তিনি৷ সঙ্গীতা বলেন, ‘দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শুভঙ্করের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক৷ এতদিন ধরে সে আমাকে বিয়ে করবে করবে বলছিল৷ কিন্তু ১ এপ্রিল হঠাৎ আমাকে বিয়ে করবে না বলে জানায়৷ তাই বিয়ের দাবিতে আমি আজ সকালে ওঁর বাড়িতে এসেছি৷’
এর আগে সঙ্গীতার বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব যায় শুভঙ্করের বাড়িতে৷ তরুণী বলেন, ‘ছেলের বাড়িও বিয়েতে রাজি ছিল৷ কিন্তু তাঁরা সময় চান৷ এভাবে দিন কাটতে থাকে৷ কিন্তু শুভঙ্কর আমাকে অন্যজনের মাধ্যমে জানায়, সে আমাকে বিয়ে করবে না৷ তাহলে এতদিন সে আমাকে ঘোরালো কেন? আমার বাড়ির সদস্যদের কেন বলেছিল বিয়ে করব৷’ ছেলের সঙ্গে সঙ্গীতার সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন নেন শুভঙ্করের বাবা৷ তিনি বলেন, ‘ওদের বাড়ি থেকে এর আগে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়েছিল৷ ছেলের তখন বিয়েতে মত ছিল৷ কিন্তু জানি না এখন কী হয়েছে৷ আমরা বিয়ে দিতে রাজি৷ কিন্তু আজকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ মেয়ে আমার বাড়িতে এসেছে৷’ এ বিষয়ে শুভঙ্কর রায় সাংবাদিকদের কিছু জানাতে চাননি৷ বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও ধরেননি