কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সাক্ষাৎ মৃত্যুকে চোখের সামনে দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ফিরলেন ডুবে যাওয়া ট্রলারের ১৩ জন মৎস্যজীবী। কেবল একটি লাইফ জ্যাকেটের উপর ভর করে গভীর সমুদ্রে ভাসছিলেন ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি সত্যনারায়ণের ১৩ জন মৎস্যজীবী। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাঁচার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। প্রায় চার ঘন্টা ধরে গভীর সমুদ্রে ঢেউয়ের ধাক্কায় রীতিমতো নাকানি চোবানি খাচ্ছিলেন ওই মৎস্যজীবীরা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে করতে জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছিল তাঁদের। ঠিক সেই সময় দেবদূতের মতো তাঁদের সামনে হাজির হয় একটি উদ্ধারকারী ট্রলার। পরে দড়ি ফেলে ধীরে ধীরে উদ্ধার করা হয় ১৩ জন মৎস্যজীবীকে।
শুক্রবার গভীর রাতে উদ্ধারকারী ট্রলারটি ওই ১৩ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে ফিরে আসে কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসা হয় কাকদ্বীপ মহাকুমা হাসপাতালে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতালে বেডে শুয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় কলকাতা টিভির ক্যামেরার সামনে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার কাহিনী তুলে ধরলেন ওই তাঁরা।
আরও পড়ুন: Badru Banerjee : প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার তথা অলিম্পিয়ান সমর বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, গত বুধবার কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ১৮ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে রওনা হয় সত্যনারায়ণ নামে ট্রলারটি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় তাঁরা বন্দরে ফিরে আসছিল। সেই সময় কেঁদো দ্বীপের কাছে চড়াইয়ে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় ট্রলারটি। ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও নিখোঁজ ওই ট্রলারের পাঁচ মৎস্যজীবী। অন্যদিকে, ওই মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আরও দুটি ট্রলার। ট্রলার গুলি হল এফবি সুধামই এবং এফবি বিশালক্ষী। খারাপ আবহাওয়ার মুখে পড়ে ট্রলার দুটি ডুবে গেলেও ওই দুটি টলারে থাকা মোট ২৫ জন মৎস্যজীবীকেও নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ পাঁচ মৎজীবীর সন্ধানের তল্লাশি চালাচ্ছে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও মৎস্যজীবীরা। ওই পাঁচ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় রয়েছেন।