কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কি বিপন্ন? প্রাণিজগতের ভবিষ্যৎ বিরাট বিপদের মুখে? অন্তত রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি রিপোর্ট সেই ধ্বংসেরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গোটা বিশ্বই এখন উষ্ণায়নের ঝুঁকির সম্মুখীন। আর তাতেই বছর বছর তিলেতিলে মৃত্যুর দিকে এগচ্ছি আমরা। সমীক্ষাকারী বিশেষজ্ঞরা সেইরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন রিপোর্টে।
এত সাধের সভ্যতা এমনই বিপর্যয়ের মুখোমুখি যে, শুধু মানুষই নয়, জল, স্থল, আকাশে বসবাসকারী সব প্রাণীই মরণাপন্ন এই মুহূর্তে। অস্তিত্বরক্ষায় পশুপাখি এবং মানুষও ঘর ছেড়ে নয়া আস্তানার খোঁজে বেরিয়ে পড়ছে। পৃথিবী ক্রমশ উষ্ণ হয়ে পড়ার কুফলের প্রত্যক্ষ প্রভাবও দেখা যাচ্ছে সর্বত্র।
বহু পশুপাখি ইতিমধ্যেই অস্তিত্ব হারিয়েছে। বিপন্ন কয়েক হাজার প্রজাতি। পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়েছে। প্রায় সব দেশেই রোগব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাপপ্রবাহ তীব্র আকার নিচ্ছে। হঠাৎ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ব্যাপক বন্যা হয়ে যাচ্ছে। বজ্রপাত, ভয়ঙ্কর দাবানলে জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে অরণ্য। তার থেকেও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে জলসঙ্কট ও সমুদ্র জলস্তরের বৃদ্ধি। এসবই বিশ্ব উষ্ণায়নের খারাপ ইঙ্গিত।
এর থেকে মুক্তির উপায় কী? সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কারখানার ধোঁয়া, বর্জ্য জল, ফসলের গোড়া পোড়ানো, তাপবিদ্যুৎ ও পরমাণু চুল্লি থেকে নির্গত উত্তাপ, পরমাণু পরীক্ষা এই মুহূর্তে শূন্যে নামিয়ে আনা। সম্প্রতি, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো একটি বৈঠকে মিলিত হলেও সেখানে তেমন কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। ফলে, শিয়রে শমন। পিঁপড়ে থেকে প্রজাপতি, বনচারী পশু থেকে সভ্যতার দানব মানুষ পর্যন্ত সকলেই মৃত্যুর সদর দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। সতর্ক হলে ভালো, নয়তো ধ্বংস কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।