ইসলামাবাদ: চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা পাকিস্তানে। মৃত মেয়ের শরীর (Woman Body) ধর্ষণের (Rape) মতো জঘন্য কাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা করতে করতে কবরে তালা ঝুলিয়ে রাখাছে পিতামাতা। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া (Necrophilia Cases) অর্থাৎ শবদেহের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।
প্রকাশিত রিপোর্ট এটাও বলছে, পাকিস্তানে (Pakistan) মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষার্থে বোরকা পরিয়ে রাখার কথা বলা হয়, অথচ সেই দেশেও প্রতি দুই ঘণ্টাও একটি করে মেয়ে বা নারী কিংবা মহিলা ধর্ষিতা হচ্ছেন। আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্য, এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উদ্বেগের বিষয়। বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে সেদেশে। নারীদের বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপরাধের ঘটনা গোটা সমাজের মাথা হেঁট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
পাকিস্তানের তথাকথিত সভ্য সমাজকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। একদিকে যেখানে নারীদের সম্মানের কথা বলা হচ্ছে। তাঁদেরকে পর্দার আড়ালে রাখতে বোরকা পরার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, উল্টোদিকে সেই দেশেই ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে। ছাড় পাচ্ছে না মৃতদেহও।
পাকিস্তানের মাটিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটার জন্য প্রাক্তন মুসলিমপন্থী নাস্তিক সমাজকর্মী হ্যারিল সুলতান তাঁর দ্য কার্স অব গড, হোয়াই আই লেফট ইসলাম (The Curse of God, why I left Islam) শীর্ষক বইতে এজন্য কট্টরপন্থী মুসলিম মতাদর্শকে দায়ি করেছেন। গত বুধবার তিনি একটি টুইট করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন, “পাকিস্তান এক ধরনের কামুক, যৌন হতাশাগ্রস্ত মুসলিমসমাজ করেছে, যেখানে মানুষকে আজকে তাঁদের কন্যার কবরে পর্যন্ত তালা দিয়ে রাখতে হচ্ছে ধর্ষণের হাত থেকে মৃত শরীরকে রক্ষা করার জন্য। আপনি যখন ধর্ষণের বিষটি বোরকার সঙ্গে যুক্ত করবলেন, সেটা আপনাকে ওই কবরেই নিয়ে যাবে।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তানে মহিলাদের দেহ কবর থেকে তুলে অপবিত্র করার মতো একাধিক ঘটনা ঘটেছে সাম্প্রতিক সময়ে। দিনে দিনে তা বেড়েছে।এরকমই এক ব্যক্তি মহম্মদ রিজওয়ান। করাচির নাজিমাবাদের ওই ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর স্বীকার করেছে, ২০১১ সাল থেকে সেই এই ধরনের কুকর্ম করে আসছে। কবর থেকে সে ৪৮টি নারী ও মহিলার মৃতদেহ তুলে সে ধর্ষণ করেছিল।
ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, পাকিস্তানের ৪০ শতাংশেরও বেশি নারী তাঁদের জীবনে অন্তত একবার কোনও না কোনও ধরনের হিংসার ঘটনার শিকার হয়েছেন।