কলকাতা টিভি ডিজিটাল ডেস্ক: ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্টেই করোনাভাইরাসের গঙ্গাপ্রাপ্তি কি না, তা নিয়ে ফের একবার ধন্দ বাড়ালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, WHO-র প্রধান টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। হু প্রধানের সতর্কবার্তা, ওমিক্রনকে করোনাভাইরাসের শেষ ভ্যারিয়েন্ট বা স্ট্রেন হিসেবে ধরে নেওয়াটা আমাদের জন্য ‘বিপজ্জনক’ হতে পারে। তবে, অতিমারির ‘অ্যাকিউট’ বা তীব্র পর্যায় থেকে এ বছরই আমরা নিস্তার পেতে পারি। এমন সম্ভাবনাও তিনি কিন্তু দেখছেন।
একাধিকবার মিউট্যান্ট বা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ স্ট্রেন ওমিক্রন। যা ডেল্টার থেকে কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক। ওমিক্রন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা এক একরকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান এখনও জোর দিয়ে বলতে পারছেন না, ওমিক্রনেই করোনার ইতি। পরবর্তীতে আর কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবে না। ওমিক্রনের অতি সংক্রমণ ক্ষমতাই WHO প্রধানের মাথাব্যথার কারণ। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারছেন না ওমিক্রনেই অতিমারির ‘খেল খতম’।
তবে, অতিমারির তীব্র পর্যায় যে আমরা এ বছরই কাটিয়ে উঠতে পারি, তার নানাবিধ কারণ তুলে ধরেন টেডরস আধানম ঘেব্রেয়েসাস। কোভিড বিধিনিষেধ, ভ্যাকসিনেশন-সহ একাধিক পদক্ষেপের কারণেই এটা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
হু-র এগজিকিউটিভ বোর্ড মিটিংয়ে টেডরস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাত্র ন’সপ্তাহ আগে ওমিক্রন প্রথম চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যেই আক্রান্ত ৮০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে। হু প্রধানের হিসেব, গোটা ২০২০ সালে যত কোভিড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে, তা ছাপিয়ে গিয়ে বিগত ন’সপ্তাহে। ওমিক্রন নিয়ে এটাই অশঙ্কা, উত্কণ্ঠার কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের। ওমিক্রনের পরেও আরও স্ট্রেন তৈরি হতে পারে। এই সম্ভাবনা কিন্তু তিনি উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
আরও পড়ুন : Booster Doses: ওমিক্রনের চোখ রাঙানি, আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু বুস্টার ডোজ
যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ওমিক্রনেই করোনা অতিমারি শেষ হতে চলেছে। ওমিক্রনকে ‘প্রাকৃতিক ভ্যাকসিন’ হিসেবেও গবেষকদের একাংশ দাবি করেন। তাঁদের কথায়, ওমিক্রন আমাদের জন্য আশীর্বাদ। দ্রুত সংক্রমণের কারণে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ায় ওমিক্রনই পারবে ডেল্টাকে দমিয়ে দিতে।
ফলে, কী থেকে কী হবে, অতিমারি আরও কয়েক বছর জ্বালাবে নাকি ওমিক্রনের সৌজন্যে আর পাঁচটা সাধারণ ভাইরাস হয়ে থেকে যাবে, সেই সব প্রশ্নেই জবাব পেতে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরেই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।