কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ধরা পড়ল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট (New Covid Variant XE)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টের নাম ‘XE’। বিজ্ঞানীদের মতে,করোনাভাইরাসের এই নতুন মিউটেন্ট ওমিক্রনের ‘BA.2’ উপ-ভ্যারিয়েন্টের (Omicron BA2) তুলনায় প্রায় দশ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
করোনাভাইরাসের (Covid-19) ওমিক্রন-পর্ব পেরিয়ে, লোকজন যখন ক্রমশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফের একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের দুটি সাব ভ্যারিয়েন্ট BA.1 এবং BA.2 মিলিত হয়ে নতুন স্ট্রেন ‘XE’ তৈরি হয়েছে। হু জানিয়েছে, যতক্ষণ না সংক্রমনের হার এবং উল্লেখযোগ্য উপসর্গ ধরা পড়ছে, ততক্ষণ এটিকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবেই ধরা হবে।
গত ১৯ জানুয়ারি করোনার ‘XE’ স্ট্রেনটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল (XE found in UK) ব্রিটেনে। তারপর থেকে ওই দেশে ৬৩৭ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন নতুন ভ্যারিয়েন্টে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে BA.2 সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ কোভিড-১৯ কেসের মধ্যে ওই ভ্যারিয়েন্টের আধিক্যই বেশি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৪.৯ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন BA.2 ভ্যারিয়েন্টে। তার আগের সপ্তাহে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষ ওই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। চীনেও ঠিক একইভাবে বাড়ছে BA.2 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। মার্চ মাসে প্রায় ১ লক্ষ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, BA.2-র উপসর্গ (Omicron BA2) একেবারে ভিন্ন। করোনাভাইরাসের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলো ফুসফুস, শ্বাসনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। নয়া সাব ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে সংক্রমণের জায়গা অন্ত্র ও পাকস্থলী। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই অন্ত্র বা পাকস্থলী আক্রান্ত হলে, তার লক্ষণও আলাদা হবে। পেটের গন্ডগোল, বমি ভাব ও পেটেব্যথা। তবে, উপসর্গ দেখে উপেক্ষার উপায় নেই। কারণ, বিশেষজ্ঞদের অনেকেই দাবি করছেন, ওমিক্রনের এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের (Covid-19) হাত ধরেই আসতে চলেছে চতুর্থ ঢেউ।