কাবুল: ক্ষমতা দখল করলেও ঘর গোছাতে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তালিবানকে। কাবুলের ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশ করলেও পঞ্জশিরের বিদ্রোহ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে মোল্লা বারাদারদের।
বিপদ বুঝেই ইতিমধ্যেই বিদ্রোহী নর্দান অ্যালায়েন্সকে আত্মসমর্পণের হুমকি দেয় তালিবান। স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, পঞ্জাশিরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে তালিবান। আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা যদি আত্মসমর্পণ না করে, তাহলে তালিবানি আগ্রাসনের জন্য পঞ্জাশিরের বিদ্রোহীদের প্রস্তুত থাকার কথা বলেছে চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠিটি । ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের এই দুর্গম পর্বত ঘেরা উত্তরের প্রদেশটি দখল নিতে কয়েক হাজার তালিবানি রওনা দিয়েছে বলে চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠিটির তরফে জানানও হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাবুল বিমান বন্দরের বাইরে আগুন, আতঙ্ক
আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত পঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যেখানে এখনও থাবা বসাতে পারেনি তালিবান। আর এখান থেকেই তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে নর্দান অ্যালায়েন্স। প্রখ্যাত আফগান নেতা আহমেদ শাহ মাসুদ এর পুত্র আহমেদ মাসুদ ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালের নেতৃত্বে শক্তি বাড়াচ্ছে এই জোট। গতকাল রবিবার পঞ্জশিরে অভিমুখে অভিযান চালালেও মাঝপথেই পিছিয়ে আসতে হয় তালিবানকে। জানা গিয়েছে, আন্দরবান উপত্যকায় গেরিলা যোদ্ধাদের দাপটে পিছিয়ে আসে চরমপন্থী ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠিটি।
সোমবার তালিবানের টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সারি সারি সাজোয়া ট্রাক পঞ্জাশির অভিমুখে ছুটে চলেছে। প্রত্যেকটিতেই তালিবানের সাদা পতাকা ওড়ানো। ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
উল্লেখ্য গতকালই রবিবার পুল হিসার, বানু ও দে সালহার মত তিনটি জেলা তালিবান মুক্ত করতে পেরেছিল প্রতিরোধী বাহিনী। যদিও বানু জেলাটি তালিবান ফের দখল নিলেও এখনও পর্যন্ত বাকি দুটো জেলা পুনরায় নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারেনি ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠিটি।
আরও পড়ুন: ‘নির্ধারিত’ সময়ের পর মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, হুমকি তালিবানের
তবে সময় যত এগোচ্ছে আফগানিস্তানের লড়াইয়ের গতিপ্রকৃতি ক্রমশই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে পঞ্জাশিরকে ঘিরে। প্রদেশটি কে চারদিক থেকে ঘিরে রাখলেও তালিবান এখনো সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি তালিবানের একবার প্রবেশ করতে পারে তাহলে এক মাসের বেশি লড়াই চালিয়ে যেতে কি আদৌ সক্ষম হবেন আহমেদ মাসুদের বাহিনী। বৈদেশিক সমর্থন ও সহযোগিতা না পেলে নর্দান অ্যালায়েন্সের ভবিষ্যৎ নিয়েও সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা।