ইউরোপে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’র (WHO) তরফে জানানো হয়েছে, যদি এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তাহলে আগামী বসন্তের মধ্যে ইউরোপে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৭ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনা প্রাণ কেড়েছে ১.৫ মিলিয়ন মানুষের। কিন্তু সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২.২ মিলিয়নে পৌঁছবে।
ইউরোপে আবারও কোভিড ছড়াতে শুরু করেছে। আর এই ধারা বজায় থাকলে আগামী বছরের প্রথম ভাগের মধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২.২ মিলিয়ন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হু। এই কারণে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ পুনরায় কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে শুরু করেছে। হু’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী বছরের পয়লা মার্চের মধ্যে ইউরোপের ৫৩ টি দেশে মধ্যে ৪৯ টি দেশে কোভিড বাড়বে এবং সেখানকার হাসপাতালগুলির উপর চাপ বাড়বে। হু’র তাদের একটি সমীক্ষা রিপোর্টে জানিয়েছে, এখন থেকে যদি সতর্ক না হয় ইউরোপের দেশগুলি, তাহলে বসন্তকাল আসতে আসতে মৃতের সংখ্যা ৭ লক্ষ পেরিয়ে যাবে এবং ২০২২-এর আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে এই সংখ্যা ২.২ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : জার্মানিতে রেকর্ড সংক্রমণ, একদিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার
ইউরোপে এই মুহূর্তে কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির ভাইরাসটি থেকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। হু জানিয়েছে, এর থেকে বাঁচার উপায় হল, পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকাকরণ, মুখোশের ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। হু বলছে, সংক্রমণ এবং হালকা উপসর্গ রয়েছে যাদের, তাদের শরীরে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্ডস ক্রুজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়া জুড়ে কোভিডের পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। এই শীতে আরও সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেছেন, দ্রুত ভ্যাকসিন নেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত মুখ হাত ধোওয়া প্রভৃতি অভ্যাসগুলিকে বজায় রাখতে হবে। হু জানিয়েছে, নিয়মিত মাক্স ব্যবহার কোরোনার সংক্রমণকে ৫৩% পর্যন্ত কমিয়ে দিতে সক্ষম। জনসাধারণ যদি ৯৫% হারে মাক্স ব্যবহার শুরু করে, তাহলে পয়লা মার্চের মধ্যে করোনায় মৃত্যুকে রোধ করা অনেকটাই সম্ভব হবে।