কলকাতা: বিজেপিতে ফের বেসুরো আওয়াজ। এবার লখিমপুর ইস্যুতে কেন্দ্রকে বিধলেন সব্যসাচী দত্ত। বুধবার তিনি বলেন, এই কাণ্ড যারাই ঘটাক তাঁদের কঠোর শাস্তি, এমনকী ফাঁসি হওয়া উচিত্। এদিন লখিমপুর কাণ্ডে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন, সর্বনাশ করতে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছে তৃণমূল। দিলীপের এই মন্তব্যের পরই এদিন পাল্টা মুখ খোলেন সব্যসাচী।
লখিমপুরের ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীয় এই আচরনকে কার্যত আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গেও তুলনা করেন সব্যসাচী। আর বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে ফের জলঘোলা শুরু হল রাজ্য রাজনীতিতে। তবে লখিমপুর ইস্যুকে ভিত্তি করেই কী সুর বদলের চেষ্টা করছেন তিনি? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে।
সম্প্রতি লখিমপুরে নিহত কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তৃণমূল। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সব্যসাচীর এদিনের মন্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
আরও পড়ুন: লখিমপুর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের, বৃহস্পতিবার শুনানি
২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী। যদিও বিজেপিতে যোগ দিলেও অল্প দিনের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের প্রতি মোহভঙ্গ হয় তাঁর। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ধরাশায়ী হওয়ার পর অনেক নেতাই ইতিমধ্যে পদ্ম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন মুকল রায় থেকে বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকুল রায়কে নিজের বাড়িতে লুচি-আলুরদম খাওয়া নিয়েই প্রথম জল্পনা শুরু হয়েছিল সব্যসাচীকে নিয়ে। তারপর সমস্ত জল্পনাকে সত্য প্রমাণ করে মুকুলের হাত ধরেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান সব্যসাচী। যদিও নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের ভরাডুবির পর মুকুল যোগ দেন তৃণমূলে।
আরও পড়ুন: মমতাকে পুজো উপহার বাবুলের, দিদির পছন্দ মাথায় রেখে দিলেন নীল রঙের পিয়ানিকা
অন্যদিকে, অনেকদিন ধরেই বিজেপির আভ্যন্তরে বেসুরো গাইছেন রাজীব বিশ্বাসও। এবার সেই বেসুরো গেয়েই কী তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করতে চাইছেন সব্যসাচী দত্ত? গুঞ্জন রাজনৈতিকমহলে।