কলকাতা : করোনা অতিমারির আতঙ্কের পরিবেশ কিছুটা শিথিল হয়েছে ২০২১-এ। পুজোর মরশুমে। গত বছরের মতো চলতি বছরেও বাজি নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে বাজি বিক্রি ও পোড়ানো বন্ধ করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের পরিকল্পনাও করে ফেলল রাজ্য প্রশাসন। নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই বিসর্জন করতে হবে। কালী পুজোয় ভাসান করতে হবে ৫-৭ নভেম্বর। জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসান করতে হবে ১৪ নভেম্বর বা ১৫ নভেম্বর।
আরও পড়ুন : পুনিত রাজকুমারের শেষকৃত্য
সম্প্রতি সারা দেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো যেভাবে হুমকি দিচ্ছে সেই প্রেক্ষিতে নবান্নের এই নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় এও বলা হয়েছে, উৎসব মরশুমগুলিতে অতীতে যে সমস্ত জায়গায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে, সেই জায়গার উপর কড়া নজরদারি চালাতে হবে। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, মিশ্র এলাকা স্পর্শকাতর এলাকা বলে চিহ্নিত। ওই সমস্ত এলাকায় সমাজ বিরোধী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি উস্কানি দিয়ে যাতে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কড়া নজরদারি চালাতে বিশেষ কিছু জায়গায় ওয়াচ টাওয়ার বসানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেই কালী পুজোয় রাত্রিকালীন বিধিনিষেধে ছাড় দিয়েছিল রাজ্য সরকার। নৈহাটি, বারাসত থেকে প্রতি বছর বিসর্জনে বিপুল জনসমাগম হয়। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় বিশাল সমাগম হয়। এরই মধ্যে লোকাল ট্রেন চালানোয় সবুজ সংকেত দিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে, কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় যাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য ভাসানের দিনক্ষণেও কড়াকড়ি বজায় রাখল রাজ্য প্রশাসন।