কলকাতা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের নিন্দা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, ভোটে হেরে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি৷ টেনে আনেন উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ৷ বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে এত ঘটনা ঘটেছে৷ ক’টা কমিশন গঠন করা হয়েছে? ক’জন কমিশনার সেখানে গিয়েছেন’৷
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশকে দিচ্ছেন অথচ বাংলায় ভ্যাকসিনের আকাল, মোদিকে চিঠি মমতার
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ তাতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে৷ বলা হয়েছে, নির্বাচনের পর বহু মানুষ ঘরছাড়া৷ ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটেছে৷ স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করানো উচিত৷ পাশাপাশি, রাজ্যের বাইরে মামলা স্থানান্তরের দাবি জানানো হয়েছে৷ কমিশনের রিপোর্টের পরই গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে হিংসার ঘটনার বিরোধিতা করি৷ ছোটো ছোটো কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে৷ ভোটের সময় যখন সন্ত্রাস হয়েছে তখন দায়িত্বে কমিশন৷ আইনশৃঙ্খলা কমিশনের দায়িত্বে ছিল৷ কমিশনের নামে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে৷’ তাঁর প্রশ্ন, ‘মানবাধিকার কমিশন আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে৷ তাহলে সংবাদমাধ্যমের কাছে লিক হল কী করে?’ না থেমে মমতা বলেন, ‘কারা করেছে জানি৷ কিন্তু বলব না৷ যা বলার আদালতে বলব৷’
আরও পড়ুন: কোভিড মোকাবিলায় যোগীকে দরাজ সার্টিফিকেট মোদির
বাংলার পরিস্থিতির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার তুলনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কোনও আইনের শাসন নেই৷ মোদি বলতে পারবেন ওখানে কত লোক কোভিডে মারা গিয়েছেন? সব তো গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে৷ পবিত্র গঙ্গা দিয়ে মৃতদেহ বাংলায় পাঠিয়ে দিচ্ছে৷ একের পর এক ঘটনা ঘটেছে৷ হাথরস হয়েছে৷ উন্নাও হয়েছে৷ অত ঘটনা ঘটেছে ক’টা মানবাধিকার কমিশন গঠন হয়েছে?’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার সঙ্গে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে৷
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্য ফাঁসের অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷ জানিয়েছে, বিষয়টা আদালতের বিচারাধীন৷ আদালত এবং আদালত নির্দেশিত নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে এই তথ্য শেয়ার করেছে কমিশন৷ কাজেই তথ্য ফাঁসের প্রশ্ন ওঠে না৷