কলকাতা: দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দাপট দেখাচ্ছে করোনা। যা নিয়ে নাজেহাল সমগ্র বিশ্ব। চলতি বছরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মারাত্মকভাবে আছড়ে পরে ভারতে। যার বড় প্রভাব পড়ে বাংলার মাটিতেও। যদিও এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। এই অবস্থায় বেশ কয়েকজন কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
আরও পড়ুন- বন্ধ ভাইয়ের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট, ত্রাতার ভূমিকায় দিদি প্রিয়াঙ্কা
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি বলেছেন যে যাব্জজীবন সাজাপ্রাপ্ত বহু কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূলত বয়স্ক কয়েদীদের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে জীবনের পরবর্তী সময়টা তাঁরা পরিজনদের সঙ্গে কাটাতে পারেন। বিস্তারিত পরিসংখ্যান এদিন দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- রেল লাইনের ধারে ক্লাস নিচ্ছেন পুলিশ ম্যাডাম, পড়ুয়া মধু বস্তির বাচ্চারা
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে চলতি মাসে দুই দফায় ১৩৬ জনকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২ অগস্ট ৬৩ জন কয়েদিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে ৬১ জন পুরুষ এবং দুই জন মহিলা। বৃহস্পতিবার ৭৩ জন কয়েদিকে সংশধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ এবং সাত জন মহিলা। এই মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ছাড়া সকল পুরুষদের বয়স ৬০ বছরের বেশি। আর মহিলাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি। দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাওয়া একজন পুরুষের বয়স ৬০ বছরের কম।
আরও পড়ুন- দিলীপের প্ল্যাকার্ডে ‘কন্নাশ্রী’ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! ‘মূর্খ’ বললেন তথাগত
সকল কয়েদিদের অবশ্য মুক্তি দেওয়া হয়নি। এমন কোনও পরিকল্পনাও রাজ্য সরকারের নেই। এ দিন নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি জানিয়েছন যে যাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাদের নামের তালিকা একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করেছে। সেই কমিটি কয়েদির অপরাধ এবং সে অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।