হাওড়া: প্রথমে কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড৷ তারপর হাওড়া জেলার পুলিসের হাতে গ্রেফতার৷ শনিবার হাওড়া সাঁকরাইলের পাঁচলা থানা এলাকায় গাড়ির ভিতর বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় জোড়া ফলায় বিদ্ধ হলেন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের ওই তিন বিধায়ক৷ গতকাল রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিস৷ গ্রেফতারের পরই তিনজনকে তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে৷ ধৃতরা হলেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিরজির বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল৷ এঁদের সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়৷ এদিনই সবাইকে তোলা হবে আদালতে৷ অপরদিকে পুলিস জানিয়েছে, বিধায়কদের গাড়ি থেকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে৷ এই টাকা কোথা থেকে পেলেন তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারেননি৷
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই তিন বিধায়ক শুক্রবার গুয়াহাটি গিয়েছিলেন৷ পরেরদিনই কলকাতায় ফিরে আসেন৷ একরাতের জন্য কেন তারা অসম গিয়েছিলেন সেই প্রশ্নের কোনও জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন৷ কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি তুলেছে, ঝাড়খণ্ডে জেজেএম-কংগ্রেসের জোট সরকার ফেলতে তৎপর হয়ে উঠেছে বিজেপি৷ তারপর বিধায়কদের গুয়াহাটিতে যাওয়ার খবরে সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে৷ যদিও পুলিসের কাছে ওই তিন বিধায়ক প্রথমে জানিয়েছিল, তাঁদের গন্তব্য ছিল মন্দারমণি৷ ফেরার সময় কলকাতার বড়বাজার থেকে শাড়ি কেনার কথা ছিল৷ আগামী ৯ অগস্ট আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়খণ্ডে নিজের নিজের এলাকায় ওই শাড়ি করার কথা ছিল৷ শাড়ি কিনতেই তাঁদের আসা৷
এদিকে গতকালের ঘটনার পরই দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে ওই তিন বিধায়ককে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে কংগ্রেস৷ রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে শাস্তির কথা ঘোষণা করেন ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা অবনীশ পাণ্ডে৷ তিনি বলেন, ‘আমরা সবার খবর রাখি৷ আগামিদিনে যিনি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, তিনি জনপ্রতিনিধি হোক বা দলের কোনও সাধারণ কর্মী, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’