ফের শহরে ডেঙ্গিতে মৃত্যু এক যুবকের। কুঁদঘাটের ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পূর্ব পুটিয়ারির বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সায়ক ঘোষ চৌধুরী। বয়স ২৪। গত সোমবার থেকে তিনি বাড়িতে জ্বরে ভুগছিলেন। বুধবার পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সায়কের জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং প্লেটলেট কমে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু নিয়ে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত অবস্থায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। যার মধ্যে উত্তর কলকাতায় ২ জন এবং দক্ষিণ কলকাতায় ১১ জন রয়েছেন।
এদিকে, শনিবার ডেঙ্গি ইস্যুকে হাতিয়ার করে পথে নেমেছে এসইউসিআই। কলকাতা পুরসভার বেহালা এলাকার ১৩ এবং ১৪ নম্বর বরোতে বহু স্থানীয় বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এরই প্রতিবাদে পথে নেমেছে বামপন্থী দল এসইউসিআই। তাদের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভা কোনও তৎপরতা নিচ্ছে না এলাকায়। এই নিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধের দাবিতে বেহালা কর্পোরেশন অভিযান ও বেহালা ডায়মন্ড হারবার ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পথ অবরোধ করা হয়।
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মানুষ যতদিন না সচেতন হবে ততদিন সমস্যা থাকবেই। পুরসভা প্রাণপণ প্রচেষ্টা করছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে স্প্রে করছে। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। ফিভার ক্লিনিকগুলি সারাদিন রাত্রি খোলা আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে এমন সমস্ত বাড়ির ছাদে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর লার্ভা। মানুষের সচেতনতা ও আচার-আচরণ যদি এরকম হয় পুরসভার কিছু করার নেই। মানুষকে বলছি সচেতন হতে। কলকাতায় কয়েক লক্ষ ছাদ রয়েছে সব ছাদে পুরসভার ওঠা সম্ভব না এগুলো মানুষকেই পরিষ্কার করতে হবে।