উৎসব মানেই দৈনন্দিন জীবনের নিয়ম কানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বছরের এই কটা দিন প্রাণখুলে বাঁচা। জমিয়ে খাওয়া দাওয়া, মিষ্টি মুখ, মনের মানুষের সঙ্গে মাঞ্জা দিয়ে সাজগোজ ও রাত জেগে পরিবার পরিজনের সঙ্গে হই হুল্লোড়। আর উৎসবের মরসুমে এই খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, মদ্যপান, রাত জাগা সব কিছুর প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপর। আর এই একদিন থেকেই সমস্যা বেড়ে দীর্ঘদিনের হতে পারে। যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি, নষ্ট হতে পারে ত্বকের আর্দ্রতা, চুল পড়া, পিগমেন্টেশন এমনকি এগজিমা ও বয়সের আগেই ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া।
ডার্মেটোলজিস্টারা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন কোলাজেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ত্বকের নমনীয়তা নষ্ট হয় এবং ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায়। অন্যদিকে মদ্যপানের জন্য শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ডার্ক সার্কেল আরও ফুটে ওঠে।
তাই উত্সবের আমেজে গা ভাসালেও, ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে ভুলবেন না। এই সময় কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি টিপস জানিয়েছেন ডার্মেটোলজিস্ট ডাঃ রশ্মি শেট্টি। যেমন-
- মেকআপ করার আগে ও পরে নিয়ম করে বেশি মাত্রায় ময়শ্চারাইজার মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বক ভাল মতো ময়শ্চারাইজড ও হাইড্রেটেড থাকলে ত্বকের যে কোনও সমস্যার সঙ্গে সহজে মোকাবিলা করা যায়। এমনকি ব্রণ ও ফুসকুড়ির প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করুন। এর ফলে ত্বকের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মোকাবিলা সহজ হয়। এমনকি ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সামান্য পরিচর্যাতেই আবার আগের অবস্থায় ফেরানো যায়। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিত হতে হবে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত সামগ্রীগুলিতে যেন বেশি পরিমাণে কড়া রাসায়নিক না থাকে।
- স্কোয়ালিন, পেপটাইডস ও অ্যালোভেরার নির্যাস যুক্ত সামগ্রী ব্যবহার করুন। এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের মেরামতি করে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা দ্রুত কম করে।
- ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে ভুলেও স্ক্রাব, স্টিম করা কিংবা কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েশনের পথে হাটবেন না। এগুলো করলে ত্বকের জ্বালা যন্ত্রণা আরও বাড়তে পারে। ত্বক আরও বেশি সংবেনদশীল হয়ে যেতে পারে।