skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeকলকাতাভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় আদালতের তোপে সিআইডির ডিআইজি

ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় আদালতের তোপে সিআইডির ডিআইজি

Follow Us :

কলকাতা: আদালতে অস্বস্তিতে রাজ্য। ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় আদালতের তোপের মুখে পড়লেন সিআইডির ডিআইজি (CID DIG)। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Calcutta High Court Justice Biswajit Basu) সিআইডিকে বলেন, ভুয়ো নথির (JobsFake Documents) ভিত্তিতে এখনও অনেক শিক্ষক নিয়মিত বেতন পেয়ে চলেছেন। এই সুপরিকল্পিত দুর্নীতি কোনও একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। আপনাদের তদন্তে আমি সন্তুষ্ট নই। সাত দিনের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট।

ভুয়ো নথির ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদের সুতিতে গোথা হাইস্কুলে চাকরি পান অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবার অনিমেষেরই বাবা আশিস তিওয়ারি। তা নিয়ে মামলাও হয়। গ্রেফতার হন আশিস। তখন অনিমেষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত ১৮ জানুযারি আদালত এই ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। গঠিত সাত সদস্যের সিট। আদালতের এর পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই আদালত তদন্তকারী সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল সিআইডির কাছে। বুধবারই বিচারপতি বসু সিআইডি তদন্তের অগ্রগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিআইজিকে এদিন সশরীর হাজিরার নির্দেশ দেন। সেইমতো এদিন ডিআইজি আদালতে হাজির হন।

আরও পড়ুন: বোর্ড গঠনের দলীয় বৈঠকে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি 

বৃহস্পতিবার সিআইডির তদন্তকারী সদস্যদের শুধু পদমর্যাদা জানানো হয় আদালতে। তাঁদের নাম না থাকায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, রাজ্য সরকার কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে না বলে আমি মনে করি। কিন্তু, আমাকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে না তো? এদিনই নামগুলি জানানো হবে বলে রাজ্য সরকার আশ্বাস দেয়। মামলার শুনানিতে দায়িত্বশীল কোনও তদন্তকারী অফিসার হাজির না থাকাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু। তিনি বলেন, তদন্তকারীদের নাম কোথায়? শুধু পদমর্যাদা দিলেই হয়ে যাবে।

বিচারপতি আরও বলেন, এই তদন্ত চলছে আদালতের নজদারিতে। সেটা মাথায় রাখতে হবে। ইচ্ছেমতো সিটের অফিসারদের নাম বদল করলে হবে না।  আদালতের চাপে পড়ে সরকারি আইনজীবী জানান, এদিনই সব নামের তালিকা জমা দিচ্ছি।  

RELATED ARTICLES

Most Popular