কলকাতা: পোলট্রি (Poultry) মুরগীর চাষ দিন দিন বাড়ছে রাজ্যে (West Bengal)। অনেক বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে এই পোলট্রি থেকে। পোলট্রি মুরগীর চাষে প্রচুর অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, তা এবার বন্ধ হোক। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হোক তুলসী (Tulsi) পাতা, তেতুঁল পাতা, কাঞ্চন, অর্জুন, লবঙ্গ জাতীয় ভেষজ। এমনই পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা। সায়েন্স সিটিতে (Science City) তিন দিন ধরে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক পোলট্রি মেলায় (International Poultry Fair) দেশ- বিদেশের পোলট্রি উৎপাদকদের আলোচনাতে এই মত উঠে এল। গবেষকদের বক্তব্য, প্রাণীজ প্রোটিন থেকে সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিকের (Anti Biotic) প্রভাব মানুষের শরীরে আসছে। তার ফলে ক্ষতি হতে পারে। সেটা আটকাতে ভেষজ প্রক্রিয়া কাজে দেবে। মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর প্রভাব আটকাতে পোলট্রি চাষেও অ্যান্টিবায়োটিকের পরিবর্তে ভেষজ গাছের ব্যবহার করতে ইতিমধ্যে শুরুও করেছেন গবেষকরা (Researcher)।
পোলট্রি উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এবছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য নিজের চাহিদা অনুযায়ী ডিম উৎপাদন করতে পারবে বলে আশাবাদী প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের (Animal Resource Development) আধিকারিকরা। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে পোলট্রি চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। নির্দিষ্ট গুণমান (Quality) বজায় রেখে কীভাবে উৎপাদন (Production) আরও বাড়ানো সম্ভব তা নিয়ে প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন পোলট্রি বিশেষজ্ঞরা (Epert)। রাজ্যে পোলট্রি ডিম ও মাংসের দাম বাড়ার পিছনে মুরগির খাদ্যের দাম বৃদ্ধিকেই দায়ী করছে পোলট্রি ফেডারেশন।
আরও পড়ুন: Husband Death:মদ্যপ দুই স্ত্রীর হাতে খুন ঘুমে আচ্ছন্ন স্বামী
পোলট্রি বিজ্ঞানের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী (Scientist) ও প্রযুক্তিবিদরা ওই আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়া রাজ্যের প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞানের অধ্যাপকরা এই মেলায় স্কুল-কলেজের উৎসাহী পড়ুয়াদের জন্য পোলট্রি পরিচালন ব্যবস্থার খুঁটিনাটি পরামর্শ (Consultation) দিচ্ছেন। আগামী দিনে এই পড়ুয়াদের মধ্যেই রয়েছে পোলট্রি শিল্পে উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা। উল্লেখ্য, এখনও আমাদের ডিমের (Egg) জন্য ভিন রাজ্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। সেখানে পোলট্রি চাষের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের রাজ্যে।