কালীপুজোর প্যান্ডেলে গুলি। গুরুতর জখম স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা রাজ পাণ্ডে। রবিবার গভীর রাতের ঘটনা। অকুস্থল সেই ভাটপাড়া। স্থানীয় পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনসুতিয়া লাইনে রাজকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম রাজকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলি করতে করতেই ওই দু্ষ্কৃতীরা চম্পট দেয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার রাত একটা নাগাদ রাজ কালীপুজোর প্যান্ডেলে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আচমকাই তিনটি মোটরবাইক এসে দাঁড়ায় প্যান্ডেলের সামনে। বাইক দাঁড় করিয়েই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তিন যুবক। প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চলে। তারপর বাইকে চড়েই পালায় তারা। প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক জানান, গুলি লাগে রাজের হাতে। তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। কী কারণে এই গুলি, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, টিটাগড় সহ ব্যারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় খুনোখুনি, মারামারি প্রায় জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। কখনও রাজনৈতিক হাঙ্গামা, কখনও সমাজবিরোধী বিভিন্ন দলের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই থাকে। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ওই সব এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। গত কয়েক বছরে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার পদে বদল হয়েছে অনেক। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই টিটাগড়ে একটি স্কুলের ছাদে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তখন স্কুল চলছিল। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পদস্থ অফিসার জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।