যে হারে দাম বাড়ছে সব কিছুর তাতে নিত্য জীবনযাপনের খরচ মিটিয়ে শৌখিনতার বাড়তি খরচ করতে আজকাল অনেকেই দু’বার ভাবেন। এই একই কারণে বাড়ি বা ফ্ল্যটের অন্দরসজ্জাতেও বদল আনার কথা আপনার মাথায় বেশ কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খেলেও পকেটে যাতে টান না পড়ে সেই কথা ভেবে ইচ্ছেটাকে চেপে রেখেছেন কষ্ট করেই। অন্দরসজ্জা মানেই বিস্তর খরচ অনেকেই ভাবেন এমনটা। কিন্তু জানেন কী কম বাজেটেও বাড়ির অন্দরের দারুণ মেকওভার দিতে পারেন এভাবে-
- গ্লাস ডোর
যদি আপনি ওপরের তলায় থাকেন তাহলে বাড়ি বা ফ্ল্যাটে গ্লাস ডোর লাগাতে পারেন। বিশেষ করে এমন যেগুলো দরজা বাইরের দিকে খোলে। এতে ঘর আরও বড় দেখায়। গ্লাস ডোরের কারণে ঘরে প্রচুর পরিমাণে আলো ঢুকতে পারে এর ফলে ঘর বেশ খোলামেলা দেখায়।
- দেওয়ালের রঙ
ঘরের দেওয়াল অফ হোয়াইট কিংবা সাদা রঙয়ের পেন্ট করতে পারেন। এতে ঘর আরও খোলামেলা, পরিষ্কার ও সুন্দর দেখায়। কারণ সাদা রঙয়ের দেওয়ালে আলো খেলে ভাল। এদিকে রকমারি রঙয়ের মিক্স অ্যান ম্যাচের বাড়তি খরচের প্রয়োজনও পড়ে না।
- নেট বা শিয়ার কার্টেন
দামী ও ভারী পর্দার কাপড়ের জায়গায় বাজেট ফ্রেন্ডলি নেট বা শিয়ার কার্টেন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরণের কার্টেনে ঘরে বেশি আলো বাতাস ঢোকে এর ফলে ঘর খোলা মেলা লাগে। ঘর দেখতেও বেশ ভাল লাগে। এগুলো সহজেই ঘরের যে কোনও লুকের সঙ্গে সুন্দর খাপ খেয়ে যায়।
- স্ট্রিং লাইটের ব্যবহার
পর্দারে রডের ওপর স্ট্রিং লাইট দিয়ে সাজাতে পারেন। আজকাল নানা রকমের স্ট্রিং লাইটের বহর দেখা যায় অনলাইনে। তবে এগুলির মধ্যে থেকে সাদামাঠা কিছু বাছলে দুটো সুবিধে হবে, এক বেশ কম দামেই পেয়ে যাবেন আর দুই, পরিষ্কার করাও সহজ হবে। আর ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে ঘরের জোড়ালো আলোর বদলে এই স্ট্রিং লাইট চোখের জন্যেও বেশ আরামদায়ক। ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
- প্যাকিং বক্সের ব্যবহার
শক্ত এবং বড় যে সব প্যাকিং বক্স বাড়িতে বাড়তি হয়ে জায়গা জুড়ে রয়েছে তাকে পরিষ্কার করে সুন্দর করে গিফ্ট পেপার কিংবা, হেভি ওয়ার্ক পুরনো কাপড় দিয়ে ঢেকে সাইড টেবিল বানিয়ে নিতে পারেন।
- ইন্ডোর প্ল্যান্টস
বাড়ি প্রাণবন্ত করে তুলতে ইন্ডোর প্ল্যান্টস লাগাতে পারেন। এগুলি একদিকে যেমন বাড়িতে সবুজের ছোঁয়া আনবে তেমন আবার বাড়ির পরিবেশকে দূষণ মুক্ত করবে। আর অনলাইনের বদলে পাড়ার নার্সারি থেকে নিলে বেশ কম দামেই পেয়ে যাবেন রকমারি ইন্ডোর প্ল্যান্ট।
(ছবি সৌ :Pinterest)