ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকতে রোজ সকালে খালি পেটে খেতে পারেন জিরে ভেজানো জল। রান্নাঘরের মশলা পাতি ব্যবহৃত গাছ গাছালি যে শুধু মাত্র রান্নায় স্বাদ বাড়ায় তা তো নয়,শরীর সুস্থ রাখতেও প্রায় প্রত্যেকটি মশলাই বেশ কার্যকরী এটা আমাদের অনেকরই জানা। ওজন কমানো থেকে শুরু করে পাচনতন্ত্র ভাল রাখতে এমনকি রূপচর্চাতেও এদের অবদান অনেক। এগুলির অন্যতম এই জিরে ভেজানো জলের উপকারিতা।
সকালে উঠেই যদি এই জিরে ভেজানো জল খাওয়া হয় তা হলে পেটের হাজার সমস্যার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। হজমশক্তি ভাল করা থেকে শুরু করে পেটে ফোলাভাব, এমনকি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও ভীষণ উপকারী, তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন নিউট্রিশনিস্ট মিশা অরোরা।
ওজন কমাতে কিংবা শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই খালি পেটে গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। তবে এতে অধিকাংশ উপকার পেলেও অনেকের আবার গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে তারা এই জিরে ভেজানো জল গরম জল খেতে পারেন।
কীভাবে খাবেন এই জিরে ভেজানো জল জেনে নিন
উপকরণ
জিরে- ১ চা চামচ
জল- এক কাপ
প্রথমে এক কাপ জলে এক চামচ জিরে রাতে ভিজিয়ে রাখুন।
সকালে উঠে এই জল ছেঁকে নিয়ে এতে গরম জলে মিশিয়ে জলের পরিমাণ এক গ্লাস করে খেয়ে নিন।
এই জল নিয়মিত খেলে কী উপকার হবে?
- জিরে ভেজানো জল খেলে মেটাবলিজম ভাল হবে। নিত্যদিনের কাজ করার জন্য আমাদের যে শক্তির প্রয়োজন হয় সেটা খাবার খেলে খাওয়ার হজমে করতে পাচনতন্ত্রে সজীব উত্পাদনের যে রাসায়নিক পরিবর্তন হয় তাকে মেটাবলিজম বলে।
- জিরে ভেজানো জল হজম শক্তি বাড়ায়।
- শরীরে থেকে বর্জ্য পদার্থ নিকাশে সাহায্য করে
- জিরে ভেজানো জলের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে
- জিরে ভেজানোল যদি সঠিক ভাবে নিয়মিত খাওয়া হয় তা হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এই জল।
- জিরে জলে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে যায় এবং জলে বায়োঅ্যাক্টিভ কমপাউন্ড নিঃসরণ করে। জিরে থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। জিরেতে যেমন রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ভিটামিন এ, বি ও সি। এই সব কারনে নানা রকমের সংক্রমণ দূরে রাখে জিরে।
- জিরেতে ক্যালসিয়াম, পোটেশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন ই। এই সব উপাদানগুলি ত্বক ভাল রাখতে ভীষণ কার্যকরী। ত্বকের জৌলুস বজায় রাখার পাশাপাশি অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
(ছবি সৌ: healthifyme)