আর মাত্র কিছু দিনের অপেক্ষা। তারপরই গোটা দেশ মাতবে আলোর উৎসবে। প্রতি বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় দীপাবলি। এ বছর দীপাবলি ১২ নভেম্বর। ধনতেরস, দীপাবলি, কালীপুজোর আগে সকলেই ঘর পরিষ্কার করেন। কেউ আবার মনের মতো করে সাজান। শাস্ত্র অনুযায়ী, লক্ষ্মী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন স্থানে বিরাজ করেন। তাই দীপাবলিতে লক্ষ্মীকে আগমন জানাতে ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। পাশাপাশি অশুভ জিনিসপত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। দেখে নিন দীপাবলির আগে কোন কোন জিনিস বাড়ি থেকে সরাবেন-
খারাপ ঘড়ি- বাড়িতে ভাঙা বা বন্ধ ঘরি থাকলে দীপাবলির আগে তা সরিয়ে দিন। বাড়িতে ভাঙা ঘড়ি রাখা অত্যন্ত অশুভ। ব্যক্তির জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে ভাঙা ও বন্ধ করি, পাশাপাশি ভুল সময় ও ভুল পথে চালিত করতে পারে।
ভাঙা মূর্তি- বাড়িতে দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি বা ছবি থাকলে তা-ও সরিয়ে দেওয়া উচিত। এই প্রতিমা জলে প্রবাহিত করে দিন। তার পরিবর্তে নতুন ছবি বা প্রতিমা নিয়ে আসুন।
ভাঁঙা কাঁচ- বাড়িতে কোনও ভাঁঙা কাঁচ থাকলে তা-ও ফেলে দেবেন। সামান্য ফাটল বা ভাঙা থাকলেও কাঁচের সেই বস্তু বাড়িতে রাখবেন না। এর পরিবর্তনে নতুন কাঁচ লাগান। বাড়িতে ভাঙা কাঁচ রাখা, ভাঙা আয়নায় মুখ দেখা অশুভ।
খারাপ বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম– কোনও বৈদ্যুতিন উপকরণ বা সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেলে তা সারিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি ঠিক না-হলে তা ফেলে দেওয়াই শ্রেয়।
পুরনো জুতো- দীপাবলির আগে বাড়ি পরিষ্কার করার সময় পুরনো, অব্যবহার্য, চটি-জুতো ফেলে দিন। এ ধরনের চটি-জুতো বাড়িতে থাকলে তা দুর্ভাগ্যকে আমন্ত্রণ জানায়।
ভাঙা সাজসজ্জার সরঞ্জাম- ঘর সাজানোর জিনিস ভাঙা হলে বা অকেজো হয়ে গেলে সেগুলি ব্যবহার না-করে ফেলে দিন। বাড়িতে ভাঙা জিনিস রাখা অশুভ।
বাড়ির প্রবেশদ্বারের মেরামতি- বাড়ির প্রবেশদ্বার খোলা বা বন্ধ করার সময়ে যাতে কোনও আওয়াজ না-আসে, আবার দরজা যাতে ভাঙা না-হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রবেশদ্বারে এমন কোনও ত্রুটি থাকলে তা সারিয়ে নেওয়া উচিত।
শয়নকক্ষে ভাঙা সরঞ্জাম রাখবেন না- বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী শয়নকক্ষে ভাঙাচোড়া জিনিস রাখতে নেই। শয়নকক্ষের বিছানা ভাঙা থাকলে তা সারিয়ে নেবেন বাস্তু অনুযায়ী ভাঙা বিছানা দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করে।
ভাঙা বাসন- দীপাবলির আগে ভাঙা ও অব্যবহার্য বাসনপত্র, খেলনা, ছেঁড়া পোশাক ফেলে দেবেন।