নয়াদিল্লি: স্কুলে ধর্মীয় পোশাকের পরিবর্তে ইউনিফর্মের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ কিন্তু কর্ণাটকের হিজাব বিতর্কের বিষয়টি আদালত বিচার করবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি৷
৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের স্কুলে হিজাব বন্ধের নির্দেশের পর মুসলিম পড়ুয়া-অভিভাবকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন৷ হিন্দু ধর্মের পড়ুয়ারাওস গেরুয়া ফেট্টি পরে পথে নামেন৷ যে কারণে কর্ণাটক সরকার কয়েকদিন স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নেটওয়ার্ক ১৮ গ্রুপকে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করেন যে সমস্ত ধর্মাবলম্বী ছাত্র-ছাত্রীকে অবশ্যই স্কুল ড্রেস কোড মেনে চলতে হবে। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন রয়েছে এবং আদালত এই বিষয়ে তার শুনানি পরিচালনা করছে। এই বিষয়ে আদালত যা সিদ্ধান্ত নেয় তা সকলের মেনে চলা উচিত।
অমিত শাহ আরও বলেন, ‘তবে আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছতেই হবে যে, আমরা দেশের সংবিধান মতে চলব, নাকি নিজের ইচ্ছেয়৷ অবশ্যই আদালত যে রায় দেবে তা আমরা মেনে নেব৷ প্রত্যেকেই সেটা মেনে নেবেন৷’’
আরও পড়ুন: Bomb Recovered: দিল্লির গাজিপুরে বিস্ফোরক উদ্ধারে আততায়ীর ব্যবহৃত বাইক বাজেয়াপ্ত
কর্ণাটকের উদুপিতে হিজাব পরে ছয় কলেজ ছাত্রীকে ঢুকতে না দেওয়াকে ঘিরে যে বিতর্কের (Hijab Row) সূত্রপাত, তা এখন গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। বহু স্কুল-কলেজে তা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ ছড়াচ্ছে অন্য রাজ্যগুলিতেও। তারই মধ্যে বিজেপির কোনও কোনও নেতা-মন্ত্রী হিজাব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে জল আরও ঘোলা করছেন। কর্ণাটকে যেসব প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন চলছে, সেখানে মুসলিম মহিলাদের প্রথম সারিতে দেখা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ছবি ভাইরালও হচ্ছে। এসব দেখেই বিজেপির একাধিক প্রবীণ মন্ত্রী প্রমাদ গুনছেন। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও-এর কথা বলছেন, যখন তাঁর উদ্যোগে তিন তালাক রদ হয়েছে, তখন হিজাব নিয়ে এই বিতর্ক পরিস্থিতি আরও গুরুতর দিকে নিয়ে যাবে।