skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
Homeদেশকাশ্মীরে সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে অভিযান সিবিআইয়ের

কাশ্মীরে সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে অভিযান সিবিআইয়ের

Follow Us :

শ্রীনগর: লাগাতার এনকাউন্টারে কাশ্মীরে জঙ্গিদের খতম করছে ভারতীয় সেনা। একই সঙ্গে সমান্তরালভাবে জম্মু-কাশ্মীরের বহু সরকারি আধিকারিকদের বাড়িতে অভিযান চালাল কন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই(CBI)। শ্রীনগরের তুলসীবাগ এলাকায় সরকারি আবাসনে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন- টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে লোক ঢোকানোর অভিযোগ, গ্রেফতার বিজেপি নেতা

মূলত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে জালিয়াতি প্রকাশ্যে আসার কারণেই এই অভিযানে নেমেছে সিবিআই। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের মোট ৪০ জায়গায় অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। লক্ষ লক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে জলিয়াতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে সিবিআই-এর কাছে। আর সেখানেই বহু আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন- ইমরান খানের ফোন ট্যাপ করেছে ভারত, জাতিসংঘে অভিযোগ পাকিস্তানের

শাহিদ ইকবাল চৌধুরীর মতো আইএএস আধিকারিকের বাড়িতেও গিয়েছে সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদল। যিনি এই মুহূর্তে জম্মু-কাশ্মীরের অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দফতরের সচিব এবং মিশন ইয়ুথের ইসিও-র পদে নিযুক্ত রয়েছেন। এর আগে তিনি উধমপুর, রেয়াসি এবং কাঠুয়ার মতো জেলার ডেপুটি কমিশনার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো নামে বহু বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন- প্রয়োজন ছাড়া অফিসে মোবাইল নয়, সরকারি কর্মীদের নয়া নির্দেশিকা

আইএএস অফিসার শাহিদ ইকবাল চৌধুরী সহ্রসাধিক বন্দুকের লাইসেন্স করিয়ে দিয়েছেন টাকার বিনিময়ে। কেবলমাত্র জম্মু-কাশ্মীর নয়, অন্য রাজ্যেও অনেক ব্যক্তির নামে বন্দুকের লাইসেন্স করিয়ে দিয়েছেন। লাইসেন্স দেওয়া অনেকেরই বাস্তবের মাটিতে কোনও অস্তিত্ব নেই। ভুয়ো নামে দেওয়া হয়েছিল লাইসেন্স। এমনই অভিযোগ রয়েছে ওই অভিজ্ঞ আইএএস আধিকারিকের বিরুদ্ধে।

এই প্রকারের আট জন প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনারের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই শুরু হ্যেছে তদন্ত। জানা গিয়েছে যে ২০১২ সালের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীরে দুই লক্ষের বেশি বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এটা একটা বড় কেলেঙ্কারি। এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৪ হাজার বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ

বছর দুয়েক আগে রাজীব রঞ্জন নামের এক আইএএস আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কুপওয়াড়া জেলার ডেপুটি কমিশনার ছিলেন। তাঁর জমানায় এই প্রকারের অনেক লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। রাজস্থানের জঙ্গি দমন শাখার একটি অভিযানের ভিত্তিতে এই চক্রের বিষয়টি প্রথম নজরে আসে। তখন ওই রাজীব রঞ্জনের ভাইয়ের নাম জানা যায়। ওই ব্যক্তি দাদার নাম ভাঙিয়ে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার করছিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular