দিল্লি: সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক (MEA)৷ স্ট্যান স্বামীর শারীরিক অবস্থা আদালতের পর্যবেক্ষনাধীন ছিল৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ (UN) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারতীয় প্রশাসন ও বিচারব্যবস্থা কখনওই মানবাধিকার বিরোধী নয়৷ তাঁর কথায়, যাজক স্ট্যান স্বামীকে (Stan swamy) ভীমা কোরেগাঁও মামলায় (bhima Koregaon Case) ইউএসপিএ মামলায় গ্রেফতার করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA)৷ জামিনের জন্য তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় বোম্বে হাইকোর্ট ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত পদক্ষেপ আইন অনুসারেই গ্রহণ করা হয়েছে৷ আজীবন আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া স্ট্যান স্বামীর (Stan Swami) মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার৷
আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: স্ট্যান স্বামীর লড়াই জারি থাকবে
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘বিনা বিচারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছর বয়সি মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামীর। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট আইন প্রমাণ ছাড়া যে সমস্ত মানুষকে আটক করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত তাঁদের মুক্তি দেওয়া।’ রাষ্ট্রসংঘ ট্যুইটে লেখা হয়, মঙ্গলবার সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়, ‘বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন বন্দি থাকার পর মৃত্যু হয়েছে ৮৪ বছর বয়সি মানবাধিকার কর্মী স্ট্যান স্বামীর। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত এবং উদ্বিগ্ন। যথেষ্ট আইন প্রমাণ ছাড়া যে সমস্ত মানুষকে আটক করা হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাষ্ট্রের উচিত তাঁদের মুক্তি দেওয়া।’ রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ জানিয়েছে, স্ট্যান স্বামীর বাকি সহবন্দিরাও বার বার জামিনের আবদন জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি দিল্লি৷