১৯৫০ সাল থেকে ভারত সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অথবা গুরুত্বপূর্ণ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে সাম্মানিক রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বরণ করে আসছে। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত আরউইন মঞ্চ, কিংসওয়ে, লালকেল্লা ও রামলীলা ময়দান, বিভিন্ন স্থানে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৫ সাল থেকে বর্তমান স্থানটি নির্দিষ্ট হয়। অতিথি রাষ্ট্র কে হবে তা নির্ধারিত হয় কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে বেশ কিছু জোট নিরপেক্ষ ও পূর্ব ব্লক রাষ্ট্রকে ডাকা হয়েছিল। ঠান্ডা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অনেক পাশ্চাত্য নেতাকেও ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন, দিল্লিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের আগে পর্যন্ত ওই দুই রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ সাধারণতন্ত্র দিবসে ভারতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে সাধারণতন্ত্র দিবসে পাকিস্তানের খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ভারতের সাম্মানিক অতিথি ছিলেন। এর কয়েক দিন পরেই দুই দেশের যুদ্ধ বাঁধে। একাধিকবার যে সমস্ত রাষ্ট্র আমন্ত্রিত হয়েছে তাদের মধ্যে আছে প্রতিবেশী ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ব্রাজিল এবং নাইজিরিয়া ও ভূতপূর্ব যুগোস্লাভিয়া। ভুটান ও ফ্রান্স চার বার আমন্ত্রিত হয়েছে। আর তাদের পরেই আছে মরিশাস ও রাশিয়া এই দুই দেশই আমন্ত্রিত হয়েছে তিন বার করে।
২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তিনি কোনও কারণে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
আরও অন্য খবর দেখুন