কলকাতা: তৃতীয়বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার প্রথম দিল্লিতে পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে পৌঁছেই জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারি সামনে নিয়ে আসা সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের সঙ্গে বৈঠকে সারেন তিনি। মঙ্গলবার একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে মমতার।
আরও পড়ুন: একই ব্যক্তিকে দু’রকমের ভ্যাকসিন, সার্টিফিকেট দেখে উদ্বেগে উপভোক্তা
দুপুর ২টোয় মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা।কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার সঙ্গে মমতার বৈঠক শুরু হবে ৩টে নাগাদ। বিকেল ৪টেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিটে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির সঙ্গে বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে জিএসটি খাতে রাজ্যের পাওনা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হতে পারে৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের আচারণ নিয়েও অভিযাগ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পুলিশকে দেওয়া-সহ এক্তিয়ারে বাইরের গিয়ে কাজ করা নিয়েও কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: বিজেপি দফতরে হাতাহাতি, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুব মোর্চার সহ-সভাপতির
পেগাসাস ইস্যু, কৃষি আইন বাতিলের মতো ইস্যু নিয়ে মোদি সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি সামনের সারি থেকে লড়াইয়ের পরিকল্পনা তৃণমূলের। তাই, তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের বৈঠক হতে পারে। ওই বৈঠকেই ২০২৪-র সলতে পাকানোর কাজ শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে গো-হারা হারানোর পর জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব বেড়েছে।
কংগ্রেস, এসপি, এনসিপি, ডিএমকে-সহ বিজেপি বিরোধী দল মোদি বিরোধিতায় তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাশে চাইছে। রাজ্যের বামেরাও জাতীয় স্তরে তৃণমূলের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ বুধবারের বৈঠকে তৃণমূলের তরফে বামেদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে৷ যদিও সেই বৈঠকে বামেদের কেউ থাকবেন কি না তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি৷ এখন বাদল অধিবেশন চলছে সংসদে। সেখানেও যেতে পারেন মমতা। কারণ তাঁকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রুম নম্বর ২০২, মঙ্গলবার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের চেয়ারে চানু
যদিও মমতার এই সফরকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ২০১৯ সালেও বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। ব্রিগেডে র্যালিও করেছিলেন। লোকসভার ফলাফল সকলেই দেখেছিল। ওঁর নিজের দলেই খুনোখুনি। ২৪-এর ভোটে লড়তে পারবেন কি না সন্দেহ। আর যেভাবে রাজ্যের ঋণের বোঝা বাড়ছে, সরকার চালানোর পরিস্থিতি নেই। তাই মোদির কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন।”