নয়াদিল্লি: বিজেপি-আরএসএস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সলমন খুরশিদের নৈনিতালের বাড়ি ভাঙচুর। সলমনের বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাক্তন মন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছেন। এই ঘটনায় রাকেশ কপিল সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ডিজিআই (কুমায়ুন) নীলেশ আনন্দ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টুইটে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। নাম না করে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন শশী। তিনি লিখেছেন, এই ঘটনা অত্যন্ত অসম্মানজনক। সলমন খুরশিদ এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে গর্বিত করেছেন। তিনি সর্বদা মধ্যপন্থী এবং যুক্তিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন। রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার বিষয়টিকে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদেরও নিন্দা করা উচিত।
আরও পড়ুন: হিন্দুত্বের সঙ্গে আইএসের তুলনা, কংগ্রেস নেতার বই নিষিদ্ধের দাবিতে পিটিশন দিল্লি হাইকোর্টে
গত বুধবার সলমন খুরশিদের ‘সানরাইজ ওভার অযোধ্যা: নেশনহুড ইন আওয়ার টাইমস’ লেখা বইটি প্রকাশিত হয়৷ সেই বই প্রকাশের পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা৷ বিজেপি-সহ হিন্দুত্ববাদী দল ও নেতাদের অভিযোগ, সলমন খুরশিদ তাঁর বইতে সনাতন ধর্মের সঙ্গে ইসলামিক জেহাদি গোষ্ঠী যেমন আইএসআইএস এবং বোকো হারামের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং জানিয়েছেন, একটা ধর্মকে এভাবে বদনাম করা লজ্জাজনক৷ কংগ্রেস এটা কী করছে?
This is disgraceful. @salman7khurshid is a statesman who has done India proud in international forums &always articulated a moderate, centrist, inclusive vision of the country domestically. The mounting levels of intolerance in our politics should be denounced by those in power. https://t.co/OQFBoN1Pgw
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) November 15, 2021
সলমনের বই ছাপা, বিতরণ এবং বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধের দাবিতে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবী বিনীত জিন্দল৷ পিটিশনে তিনি জানিয়েছেন, ‘দ্য স্যাফরন স্কাই’ চ্যাপ্টারের ১১৩ নম্বর পাতায় ওই বিতর্কিত কথাটি লিখেছেন সলমন খুরশিদ৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, আইএস এবং বোকো হারামের নেতিবাচক মতাদর্শ গ্রহণ করে হিন্দু ধর্ম হয়ে উঠেছে হিংসাত্মক, অমানবিক এবং দমনপীড়ক৷ এর পাশাপাশি রাজনৈতিক হিন্দুত্বের সঙ্গেও জিহাদির তুলনা করেছেন তিনি৷ মামলাকারীর কথায়, এই ধরনের বিষয় থেকে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে৷
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দুই মহিলা সাংবাদিকের জামিন মঞ্জুর