আগরতলা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই সার। ত্রিপুরা আছে ত্রিপুরাতেই। পুর নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করার বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত বিপ্লব দেব সরকারকে পদক্ষেপ করার কথা বললেও বিরোধী দলগুলির উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে ত্রিপুরায়। রাজধানী আগরতলায় ফের আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের অভিযোগ, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। এক তৃণমূল কর্মীকেও মারধরও করা হয়েছে। চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। আক্রান্ত কর্মী বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় নেপথ্যে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: মোদির ৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে ২৩ কোটি খরচ করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার
শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন আগরতলার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী শেখর দেববর্মা। সেই সময় তাঁর উপর আচমকা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে শেখরের পেট, বুক এবং চোখে আঘাত লাগে। এর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় পতাকা এবং ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। গেরুয়া শিবির তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি নেতা নব্যেন্দু ভট্টাচার্যর দাবি, তৃণমূলের উপর হামলারত ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, বিজেপির পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। ত্রিপুরায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিকে দেখলে মনে হয় না, তারা রেজিমেন্টেড পার্টি
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির ভয় তত বাড়ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আমাদের দলের কর্মীদের বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন হলে পুরভোটে তৃণমূলই জয়ী হবে।
আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরসভা-সহ ত্রিপুরার ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোট। গণনা ২৮ নভেম্বর।