কলকাতা: রাজ্য সভাপতির পদ গিয়েছে। সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে তাঁকে বসিয়েছে বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তের পরের দিন সকালে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে তৃণমূল নেতাকে আক্রমণ করে বললেন, “চামচাগিরি করে রাজনীতি করি না।”
পাঁচ বছরের মাথায় রাজ্য সভাপতির পদে বদল দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপিতে। দিলীপ ঘোষের জায়গায় বসানো হয়েছে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। অনেক আগেই দিলীপবাবুর পদত্যাগ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়। যার পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “চামচাগিরি করে রাজনীতি করি না। উনি(সৌগত রায়) নিজে কী করছেন দেখুক।”
রাজনৈতিক পদের বদল ঘটার পরের দিন প্রাতর্ভ্রমণে একটু দেরিতে যান দিলীপবাবু। সাধারণত কলকাতায় থাকলে বেশ ভোরেই ইকোপার্কে দেখা যায় তাঁকে। বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে শরীরচর্চা করেন। মঙ্গলবার দেরিতে প্রাতঃ ভ্রমণে যাওয়া প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “আমার এটা নিজস্ব জীবন। দল দলের মতো দায়িত্ব দেয়, সেই মতো কাজ করি। আজ বৃষ্টি তাই একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু এটা তো ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পড়ে।”
আরও পড়ুন- অভিষেকের বাড়ির সামনে প্রচারে বাধা, অবস্থানে প্রিয়াঙ্কা
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “এখানে এমপি আছি। সাধারণ কর্মী হিসেবে থাকব। যারা আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছেন, তারাই ঠিক করবেন দেশের কোথায় কী কাজে লাগাবেন। এত দিন সভাপতির দায়িত্ব ছিল, রাজ্য জুড়ে ঘুরে কাজ করেছি।”
আরও পড়ুন- নরেন্দ্র গিরির মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত অনন্ত গিরি
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সফল হতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। ২০০ আসনে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েও থামতে হয়েছে ৭৭ আসনে। যাদের মধ্যে অনেক বিধায়ক আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই ব্যর্থতার জন্য বঙ্গ বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন যে স্ট্র্যাটেজিগত ভুল ছিল। একই সুর শোনা গিয়েছে দিলীপের গলাতেও। তিনি বলেছেন, “স্ট্র্যাটেজিগত ভুল যে ছিল সেটা আমরা বুঝতে পারেছি। দফাওয়াড়ি কোনও ভুল ছিল না। আলোচনা হচ্ছে। প্রথমবার আমরা লড়েছিলাম বাংলা জয়ের জন্য। সম্পূর্ণ সফল হতে পারিনি। পরবর্তী লড়াইয়ের আগে স্ট্র্যাটেজি বদলানো হবে।”