নয়াদিল্লি: একদিকে বাণিজ্য৷ সঙ্গে মোদি বিরোধী জোটের ক্ষেত্র মজবুত করা৷
দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাণিজ্য নগরীর পথে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিমানবন্দর থেকেই স্পষ্ট করলেন তাঁর পাখির চোখ আগামী বছরের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit)৷ যে সম্মলনে বাণিজ্য নগরী বণিক গোষ্ঠীকে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি বাংলার বিনিয়োগের ক্ষেত্র মজবুত করাও তাঁর লক্ষ্য৷ আর রয়েছে, বিজোপি বিরোধী শিবসেনা এবং এনসিপি-র সঙ্গে বৈঠক৷ যদিও শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে অসুস্থ থাকায় দুই শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক হচ্ছে না৷ তবে, ঠাকরে পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কথা বলবেন, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে৷ রাত ৮টা নাগাদ আদিত্য ঠাকরের সঙ্গে মমতা বৈঠকে বসবেন৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই এমনটাই জানিয়েছে৷
যদিও তৃণমূল নেত্রীর থেকে মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসাবে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ৷ যেখানে কোনও রাজনৈতিক নেত্রী নন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গুরুত্ব পাবেন৷ সেটা হল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মনেলনের জন্য, ‘বাংলার বণিক-বাণিজ্য ভাণ্ডার’কে মজবুত করার জন্য৷ বাংলার জন্য বিনিয়োগের পথ সুগম করা৷ শিল্প-শিল্পের দরজা আরও উন্মুক্ত করা৷ বাংলায় কর্মসংস্থানের পথ বৃদ্ধি৷ শিল্পকে মানদন্ড করে বিশ্বের সামনে বাংলাকে আরও উপরে নিয়ে যাওয়া৷ বাংলার এই বিপুল উন্নয়নের পথ সৃদৃঢ় করতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘ বণিক মহলের সঙ্গে কথা বলব৷ আগামী এপ্রিলে বাংলার বাণিজ্য সম্মলনে আমন্ত্রণ জানাবো৷’
আর সবশেষে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দেওয়ার প্রসঙ্গ৷ সন্দেহ নেই এই খানেও রয়েছে এক ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি৷ কিছু দিনের মধ্যেই কলকাতা পুরসভা নির্বাচন৷ যেখানে অবাঙালি ভোটাররাও গুরুত্বপূর্ণ৷ পুজো-ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে গিয়েই সেই ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির এক ক্ষেত্র প্রস্তুত করবেন বলেও রাজনৈতিক মহলের মত৷
আরও পড়ুন-সাসপেনশন তোলা না পর্যন্ত ধরনা চলবে, হুঁশিয়ারি তৃণমূলের