উৎসবের মাঝেই নিঃশব্দে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত(National Award) ‘বালিগঞ্জ কোর্ট'(Ballygunge Court) এর পরিচালক পিনাকী চৌধুরী(Pinaki Choudhury)। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। পরিবার সূত্রে জানানো হয় কার্ডিও রেসপিরেটরির কারণে সোমবার ভোররাতে তার মৃত্যু হয়। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ভর্তি ছিলেন।বিগত একমাস ধরেই ভুগছিলেন বালিগঞ্জ কোর্ট ছবির পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। সলিড কোনও খাবার খেতে পারছিলেন না তিনি, লিক্যুইড ডায়েটই চলছিল তাঁর। ২০১৭ সালে একটি লিম্ফোমা হয়েছিল, সেটা সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু গত ২০ তারিখ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর নানা ধরনের পরীক্ষা হয়। তারপরেই চিকিৎসক জানান যে, ঐ লিম্ফোপাই পুনরায় তাঁর শরীরে ফিরে এসেছে। অ্যান্টিবায়োটিক চলছিল কিন্তু শরীরের কোনও উন্নতির বদলে কেবলই অবনতি হচ্ছিল। চিকিৎসকই ওঁকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার কথা বলেন। এরপরেই রবিবার বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়ি ফিরেই রাত ৩.১৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। লেক গার্ডেনসে তাঁর বাড়িতেই শায়িত আছে মৃতদেহ।পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার লন্ডন থেকে পিনাকিবাবুর ছেলে ফিরলে প্রয়াত পরিচালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরো পড়ুন: Parambrata Kali Pujo: বাড়ির কালীপুজোয় থাকছেন না পরম, কেন!
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের কৃতি ছাত্র ছিলেন পিনাকি চৌধুরী। ছোটবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি ছিল তাঁর টান। তিনি নিয়মিত তবলা বাজাতেন। ওস্তাদ কেরামাতুল্লাহ খান এবং পন্ডিত রবিশংকরের সঙ্গে তিনি তবলায় সংগত করেছেন। এরপর ছবির জগতের পরিচালনার কাজে মন দেন। আশির দশকের গোড়ার দিকে ‘চেনা অচেনা'(১৯৮৩)ছবির পরিচালনার মাধ্যমে তার হাতেখড়ি হয়। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তনুজা এবং অমল পালেকরের মতো বিশিষ্ট শিল্পীরা। ১৯৯৬ সালে ‘সংঘাত'(Sanghat) ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’ ছবির জন্য পুনরায় জাতীয় পুরস্কার পান। তার পরিচালিত শেষ ছবি ২০১০ সালে তৈরি ‘আরোহন’। দেশে-বিদেশে একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হয়েছিল তার এই ছবি।